স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ বেলুন উড়িয়ে, পতাকা উত্তোলন করে বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সম্মেলনের উদ্বোধন হলেও ১২টায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তা পণ্ড হয়েছে। সংঘর্ষের সময় চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ সময় সম্মেলন মঞ্চে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার পৌনে ১২ টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন উদ্ভোধনী বক্তব্য রাখার সময় থেকেই শুরু হয় উত্তেজনা, চলে পাল্টাপাল্টি স্লোগান। তাদের বার বার স্লোগান থামানো নির্দেশ দিলেও পাল্টাপাল্টি স্লোগান চলতে থাকে। একপর্যায়ে যে সকল পদপ্রার্থীর নামে স্লোগান দেয়া হচ্ছে তাদের প্রার্থীতা বাতিলে হুশিয়ারি দিয়েও তা থামাতে ব্যর্থ হয়ে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক একপর্যায়ে তার বক্তব্য বন্ধ করে দেন। এরপর বক্তব্য দিতে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাকিব হাসান সৈয়দ। এ সময় সম্মেলন স্থলে আকস্মিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এই উত্তেজনার মধ্যেই সম্মেলন কেন্দ্রের বাইরে ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপ একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এই হামলার জন্য রাউজান থেকে নির্বাচিত এমপি ফজলে করিমের অনুশারি দুই উপ গ্রুপকে দায়ী করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে সম্মেলনের বাইরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এই সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ মন্ত্রী মোশারফ হোসেনকে নিরাপদে সম্মেলন মঞ্চ থেকে বের করে নিয়ে আসে।