বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রাণৌত। রুপালি পর্দায় চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেন না। এ জন্য অনেক প্রশংসাও পেয়েছেন তিনি। এ অভিনেত্রীর পরবর্তী সিনেমা মণিকর্ণিকা : দ্য কুইন অব ঝাঁসি। এ সিনেমাতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
সম্প্রতি একটি ফ্যাশন ম্যাগাজিনে ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে কঙ্গনা রাণৌত বলেন, সিনেমাটির নাম শুনে বোঝা যাচ্ছে এটি একজন যোদ্ধার গল্প নিয়ে নির্মিত। আমার জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। এ জন্য আমাকে লড়াই, তলোয়ার ও ঘোড়া চালনা শিখতে হয়েছে। কয়েকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে প্রায় মরতে বসেছিলাম।
ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ-এর জীবনী ও ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি।
ঐতিহাসিক সিনেমা মানেই সেটি ঘিরে তৈরি হয় নানা বিতর্ক। এ সিনেমার বিরুদ্ধেও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ওঠে। সিনেমাটি নিয়ে আপত্তি জানায় ‘সর্ব বাহ্মণ মহাসভা’ নামের একটি সংগঠন। বাহ্মণদের এ সংগঠনটির অভিযোগ কঙ্গনার এ সিনেমাটিতে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে।
এতে একজন ব্রিটিশ সৈনিকের সঙ্গে রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের প্রেম দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত সিনেমাটিতে ইতিহাস বিকৃতি হয়নি নির্মাতাদের এমন আশ্বাসে আপত্তি তুলে নিয়েছে সংগঠনটি।
এ ছাড়া সিনেমাটির লেখক বিজয়েন্দ্রপ্রসাদ জানিয়েছেন, এতে রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের চরিত্রটি নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়নি। তিনি বলেন, এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমি তার চরিত্রটি সম্মানজনকভাবেই ফুটিয়ে তুলেছি। তিনি একজন যোদ্ধা যিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তিনি আমার প্রিয় নেত্রী। তার সম্পর্কে পড়তে পড়তেই বড় হয়েছি। সুতরাং তাকে দেখে অনুপ্রেরণা পাওয়া যাবে এমনভাবেই তাকে তুলে ধরেছি।
সিনেমাটি পরিচালনা করছেন তেলেগু পরিচালক রাধাকৃষ্ণ জাগারলামুড়ি। তবে তিনি কৃষ নামেই পরিচিত। এতে কঙ্গনা ছাড়াও অভিনয় করছেন-সোনু সুদ, অতুল কুরকার্নি, অঙ্কিতা লোখান্ডে প্রমুখ। চলতি বছর সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।