ঔষধি গুণসম্পন্ন কৃষি পণ্য হিসেবে কালোজিরার রয়েছে অনেক চাহিদা। কৃষিতে দিন দিন বাড়ছে এর আবাদ। সেই সঙ্গে চাহিদাও বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে কৃষকেরা এর আবাদও বাড়াচ্ছেন দিনদিন। লাভবানও হচ্ছেন কালোজিরা চাষ করে। আর এই কালোজিরা চাষে বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়না বলেও জানান কৃষকরা।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, কালোজিরা আবাদে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের কৃষক হাজি মকবুল শেখ। এ বছর তিনি তিন বিঘা জমিতে কালোজিরার চাষ করেছেন।
মকবুল শেখ জানান, কালোজিরা চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় দেড়-দুই হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা ফসলি জমিতে উৎপাদিত কালোজিরা পেয়ে থাকেন ২-৩ মণ। এখন প্রতি কেজি কালোজিরার বাজার মূল্য ২০০-২৫০টাকা। আর প্রতি মণ হিসেবে বাজারমূল্য পাচ্ছেন ৮-১০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকার কালোজিরা বিক্রি করতে পারছেন তারা।
সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের কৃষক আবুল কালাম জানান, অন্যান্য ফসলের চেয়ে কালোজিরা আবাদে খরচ কম। লাভ বেশি। গত বছর ভালো বাজারমূল্য পাওয়ায় কালোজিরার আবাদ বাড়িয়েছেন তারা। কালোজিরা খেলে অনেক রোগ-বালাই সারে। তাছাড়া বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় অনেকেই ঝুঁকছেন। কালোজিরা চাষে।
কৃষকরা আরো জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আর কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শের কারণে এবার কালোজিরার ভাল ফলন হয়েছে। আগামীতে কালোজিরার চাষ আরো বেশি বাড়বে বলে জানান তারা।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন জানান, কালোজিরা চাষে রাজবাড়ীর কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কৃষকদের কালোজিরা বীজ, সার, আর্থিক প্রণোদনা, ও প্রদর্শণী দেয়া হয়েছে। যে কারণে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। দিনদিন এর আবাদও বাড়াচ্ছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাজবাড়ীর তথ্যমতে এ বছর কালোজিরার আবাদ হয়েছে ১ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে। গত বছর হয়েছিল ৮০০ হেক্টর জমিতে। কালোজিরা আবাদের সঙ্গে রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলার ২ হাজার ৭ শ’ জন কৃষক জড়িত রয়েছেন।