কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এ শ্রদ্ধা জানানো শেষে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। পরে আজ বিকেলে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুস, কিডনির সমস্যা ও হৃদরোগসহ নানা অসুখে ভুগছিলেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। গত পরশু মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিদেশ থেকে তার সন্তান দেশে আসার অপেক্ষায় মরদেহ ল্যাবএইডের হিমঘরে সংরক্ষণ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।২০১৬ সালের ১১ই আগস্ট তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। অন্যদিকে, ব্যতিক্রমি ভাস্কর হিসেবে নন্দিত প্রিয়ভাষিণীকে শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।