স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ শ্রমিক সংঘর্ষের জের ধরে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এ পথের যাত্রীরা। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গাইবান্ধা থেকে যাত্রীদের ব্যাটারী চালিত রিক্সা বা ইজিবাইকে ওই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। তবে পলাশবাড়ীর মটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের নিজস্ব বাসগুলো পলাশবাড়ীর মাঠেরহাট পর্যন্ত চলাচল করছে। অন্যদিকে গাইবান্ধা থেকে এই জেলার মটর মালিক সমিতির আওতাধীন বাসগুলো বিকল্প গাইবান্ধা-নাকাইহাট ও গাইবান্ধা-সাদুল্যাপুর বড়দরগার সড়ক পথে চলাচল করছে।
উলে¬খ্য, পলাশবাড়ী ২০কি. মি. লিং রোডে সিএনজি চলাকে কেন্দ্র করে ৩ মার্চ সংগঠিত বাস শ্রমিক আব্দুস সালামের উপর হামলার ঘটনার জের ধরে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়ক হয়ে রংপুর ও বগুড়া রুটে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা।
গাইবান্ধা জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ স¤পাদক গৌতম কুমার চক্রবর্তী বিশু বলেন, শনিবার গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী রোডে সিএনজি না চালাতে সিএনজি মালিক ও শ্রমিককে অনুরোধ করা হয়। শুধুমাত্র গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী রুট ছাড়া অন্যান্য রুটে তাদেরকে সিএনজি চালাতে বাঁধা দেয়া হবেনা বলেও জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তারা মটর শ্রমিক নেতাদের এমন অনুরোধ না মেনে বগুড়া থেকে গাইবান্ধাগামী বাস থেকে সুপারভাইজার সালামকে পলাশবাড়ী নামিয়ে তার উপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, সালামের উপর হামলার ঘটনা মিমাংসার জন্য পলাশবাড়ী সিএনজি শ্রমিকদের ইতোপূর্বে ডেকে ব্যাপারটি মিটিয়ে দেয়া হয়। এরপর সিএনজি শ্রমিকরা পলাশবাড়ী গিয়ে আবারও বাস শ্রমিকের উপর হামলা চালিয়ে ৬জন শ্রমিককে আহত করে। এর প্রতিবাদে সন্ধ্যার পর সড়কে বাস রেখে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে গাইবান্ধা থেকে সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা।
জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বুধবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল¬াহ আল ফারুকের মধ্যস্থতায় পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জের শ্রমিক ইউনিয়ন এবং মটর মালিক সমিতির নেতাকর্মীদের জেলার নেতাকর্মীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে বিষয়টির সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।