কলকাতার এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী। গত ৬ মার্চ পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়েরপর আবারও কাজে ব্যস্ত হয়েছেন ‘বস’ খ্যাত নায়িকা। সামনে তার ‘চালবাজ’ ছবিটি মুক্তি পাবে। এতে তার বিপরীতে আছেন শাকিব খান। সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কলকাতার একটি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন শুভশ্রী। সাক্ষাৎকারটির নির্বাচিত অংশ তুলে ধরা হলো।
বিয়েতে কার ডিজাইন করা পোশাক পরেছিলেন ?
পূজা প্রসাদের ডিজাইন করা ড্রেস পরেছিলাম সেদিন।
আপনারা যে রেজিস্ট্রি করেছেন, সেটা তো কেউই জানতেন না।পুরোটাই কি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল?
নো কমেন্ট্স!
বিয়ের পর আপনার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র হতে যাচ্ছে‘চালবাজ’। ছবির গল্পটা কেমন?
খুব মজার একটা গল্প। সেটা ছবির নাম শুনেই বুঝতে পারছেন। ছবির হিরো শাকিব খান পুরো ছবি জুড়ে নানা ‘চালবাজি’ করতে থাকে। এর পেছনে কোনো নোংরা অর্থ নেই। আসলে ও সবকিছুর মধ্যেই টাকার ডিল করে! মানে ধরুন, আমি বললাম— আমাকে একটা জায়গায় পৌঁছে দিতে পারবেন? উত্তরে সে বলবে, পৌঁছে দিতে পারি, কিন্তু আমাকে এতো টাকা দিতে হবে। আর আমার চরিত্রটা খুব অ্যাম্বিশাস এক মেয়ের। যে বিয়ে করবে না বলে লন্ডনে পালিয়ে যায়। সে চায় ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করতে। ছেলেটি ও মেয়েটি একে অপরের সঙ্গে ফেঁসে যায়। সব মিলিয়ে দারুণ একটি ছবি।
দ্বিতীয়বার শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন। সেট-এ শাকিবের ‘চালবাজি’র শিকার হননি?
(হাসি) সেট-এ ওর চেয়ে চালবাজিটা আমিই বেশি করি। ব্যক্তিগত জীবনে শাকিব অসম্ভব শান্ত। কাজের প্রতি অসম্ভব ডেডিকেটেড। ও এতো কম কথা বলে, আপনি ভাবতেও পারবেন না! আপনি যদি ওর সঙ্গে ১০০টা কথা বলেন, ও উত্তরে হয়তো পাঁচটা কথা বলবে।
ইদানিং প্রায়ই একটা কথা শোনা যাচ্ছে, বাংলা ছবি নাকি চলছেই না…।
গত বছরে আমার ‘বস্ টু’ কিন্তু সবচেয়ে বেশি হিট ছিল! (একটু থেমে) এটাকে কিন্তু আবার আমার অহংকার বলে ধরে নেবেন না। প্রতিটা ছবিরই একটা ভাগ্য থাকে। আমি ছবি করছি বলেই, সেটা সুপারহিট হবে— এমনটাও ভেবে নেয়ার কোনো মানে হয় না। কোনো অভিনেতার ক্যারিয়ারের সব ছবি হিট হয় না। আমি ভাগ্যবান, যে আমার ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটা সুপারহিট ছবি রয়েছে।
যৌথ প্রযোজনার ছবি সম্পর্কে আপনার কী মতামত?
যদি পরিকল্পনামাফিক লাগাতার যৌথ প্রযোজনার ছবি তৈরি করা যায়, তাহলে এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না! কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি ফোকাস্ড হতে হবে।
নায়িকা হিসেবে বিয়েটা একটু তাড়াতাড়িই হয়ে গেলো না?
বিয়ে করার ইচ্ছেটা আমার দীর্ঘদিনের। প্ল্যান করে, ক্যারিয়ারে অমুক পর্যায়ে পৌঁছে বিয়ে করবো— এই ব্যাপারগুলো কোনোদিনই আমার মধ্যে ছিলো না। ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে, জীবনে ওর (রাজ চক্রবর্তী) মতো একজন মানুষকে পেয়েছি।