রাজধানীর হাতিরঝিলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙতে আর সময় চাওয়া হবে না এই মর্মে মুচলেকা দিতে বলেছেন আপিল বিভাগ। তারপরই এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে।আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে গড়িমসি করায় রাজউকের প্রতি অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন আদালত।বিজিএমইএ মুচলেকা দিতে রাজি হয়েছে। বিজিএমইএ মুচলেকা জমা দিলে তারপর তাদের সময়ের আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে।আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
৪ মার্চ বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ। এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ঠিক ছিল আজ।গেলো বছরের ৮ অক্টোবর বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭ মাস সময় বাড়িয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত।
সে হিসেবে ১১ এপ্রিল আদালতের বেধে দেয়া সময় শেষ হবে।জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত বিজিএমইএ ভবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ‘একটি ক্যান্সার’ মন্তব্য করে সেটির নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা এবং ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেয়া ওই রায় আপিলেও বহাল থাকে। পরে বিজিএমইএ করা রিভিউ আবেদনও খারিজ হয়ে যায়