ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ জয়ের সূবর্ণ সুযোগ নিউজিল্যান্ডের। ইডেনে প্রথম টেস্টে সফরকারী ইংল্যান্ডকে দাঁড়াতেই দেয়নি নিউজিল্যান্ড। ব্যাট-বলের দারুণ পারফরম্যান্সে ঘরের মাঠে কিউইরা ম্যাচ জিতে নেয় সহজেই। এবার তাদের সামনে বড় কীর্তি গড়ার সুযোগ।
শুক্রবার থেকে ক্রাইস্টচার্চে শুরু হচ্ছে দুই দলের শেষ টেস্ট ম্যাচ। প্রথম টেস্ট জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে কিউইরা। ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট ড্র করতে পারলেই টেস্ট সিরিজ জিতে যাবে স্বাগতিকরা। আর টেস্ট সিরিজ জিততে পারলে ৩৪ বছরের অপেক্ষার অবসান হবে।
১৯৮৪ সালে ঘরের মাঠে শেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর অনেক বসন্ত কেটে গেলে ঘরের মাঠে দাপট দেখানো হয়নি কিউইদের। এবার সেই সুযোগটি এসেছে।
দলটির কোচ মাইক হেসন বেশ আশাবাদী, এটা আমাদের জন্য দারুণ একটি সুযোগ। আমরা শেষ ছয় মাস ধরে সিরিজটি নিয়ে পরিকল্পনা করে আসছি। সামনের কয়েকটি দিন আমাদেরকে নিজেদের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে।
এদিকে লজ্জার রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট নিউজিল্যান্ড জিতে নিলেই দেশের বাইরে টানা ১৩ ম্যাচে হারের রেকর্ড গড়েবে জো রুটের দল। ঘুরে দাঁড়াতে আত্মবিশ্বাসী রুট, আমরা উন্নতির জন্য পথ খুঁজছি। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। আমরা যে কাজটা করছি সেটা ঠিকমত করার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের আরেকটি সুযোগ এসেছে নিজেদের উন্নতি করার।
ইডেনে টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টের আসাধারণ পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ড প্রথম ইনংসে মাত্র ৫৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। উইলিয়ামসন ও নিকোলসের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পায় তারা। তাতেই যেন জয় নিশ্চিত কিউইদের। দ্বিতীয় ইনিংসে নেইল ওয়াগনার ও টড অ্যাস্টেলের দারুণ বোলিংয়ে জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বল করা নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার টড অ্যাস্টেল দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন। ইনজুরিতে পড়েছেন এ লেগ স্পিনার। তার জায়গায় এসেছেন আরেক লেগ স্পিনার ইশ শোধী।