`গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ` গেমসে বাংলাদেশের জন্য প্রথম পদক এনে দিল শ্যুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকী।
রোববার ছেলেদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বাকী দ্বিতীয় হয়ে রৌপ্য জিতেছেন। এর আগেও ২০১৪ সালে গ্লাসগোতে কমনওয়েলথ গেমসের আসরে একই ইভেন্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছিলেন।
কমনওয়েলথে বাংলাদেশের আগের সব সাফল্যই এসেছে শ্যুটারদের হাত ধরে। কমনওয়েলথ গেমসের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার সময় শ্যুটিং সর্ম্পকে তেমনি আশার কথা জানিয়েছিলেন সবাই। শ্যুটিং বরাবরই বাংলাদেশের প্রত্যাশার ডিসিপ্লিন।
১৯৯০ অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণ পদক জয় করেন আতিকুর রহমান ও আবদুস সাত্তার নিনি জুটি। ২০০২ সালে ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণ পদক আসে আসিফ হোসেন খানের হাত ধরে। এছাড়া ২০০৬ সালে মেলবোর্ন কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশের শ্যুটাররা জেতেন রৌপ্য পদক। ২০১০ সালে দিল্লিতেও দলগতভাবে ব্রোঞ্জ পান শ্যুটাররা।
২০১৪ সালের মতো এবারও রৌপ্য পদক আসলো বাকীর হাতে। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে বাংলাদেশের আব্দুল্লাহ হেল বাকী ও রাব্বী হাসান মুন্না অংশ নেন। কিন্তু বাছাই পর্ব থেকেই বাদ পড়েন মুন্না। তার স্কোর ছিল ৬০৭.৬। বাকী ৬১৬ স্কোর নিয়ে উঠেন ফাইনালে। বাছাই পর্বে কমনওয়েলথ গেমস রেকর্ড ৬২৭.২ স্কোর করে ফাইনালে ওঠেন ভারতের দিপক কুমার। শেষ পর্যন্ত শীর্ষ তিনে আসা হয়নি দিপকের। ফাইনালে বাকীর স্কোর ২৪৪.৭। শ্যুট অফের শেষ শটে তিনি ৯.৭ স্কোর করেন। শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়ার শ্যুটার ড্যান স্যাম্পসনের স্কোর ২৪৫, যা কমনওয়েলথ গেমসেরই রেকর্ড। তাদের পরেই অবস্থান ভারতের রবি কুমারের। তার স্কোর ২২৪.১।
স্যাম্পসন, বাকী ও রবি যথাক্রমে গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে ছেলেদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।