জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি এরই মধ্যে কয়েকটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এসব ছবির মধ্যে সাদেক সিদ্দিকীর ‘সাহসী যোদ্ধা’র বেশকিছু অংশের কাজ শেষ করেছেন তিনি। এ ছবিতে তার বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেতা আমিন খানকে।
পপি বলেন, এ ছবির কাজটি বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। ছবিতে আমি একজন পুলিশ ইন্সপেক্টরের চরিত্রে অভিনয় করছি। দীর্ঘদিন পর আমিন ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করছি। এর আগেও উনার সঙ্গে একাধিক কাজ করেছি। মাঝখানে কোনো কাজ হয়নি আমাদের। সেটা কাটিয়ে একসঙ্গে কাজ করছি বলে আলাদা ভালো লাগা অনুভব করছি।
সামনে ‘টার্ন’ ও ‘যুদ্ধ শিশু’ নামের নতুন দু’টি ছবিতে কাজ করার কথা রয়েছে পপির। দু’টি ছবিই পরিচালনা করবেন শহীদুল ইসলাম খান। গত বছর সবশেষ ‘সোনাবন্ধু’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসা পান এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
নতুন যেসব ছবিতে তিনি কাজ করার প্রস্তাব পাচ্ছেন সে ছবিগুলোর কাহিনী বা চরিত্র কেমন হবে? পপি বলেন, এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিভিন্ন গল্পের ছবিতে আমি কাজ করেছি। এখন আমার প্রত্যাশাটা একটু ভিন্ন। এখন এমন কিছু চরিত্রে আমি কাজ করতে চাই যেগুলো সারা জীবন দর্শকের মনে দাগ কাটবে। এই ধরনের চরিত্র বা গল্পে কাজ করার অপেক্ষা করছি।
গতানুগতিক গল্পের ছবিতে তো চাইলেই কাজ করা যায়। এখন তো ভালো প্রোডাকশনের কাজও কম হচ্ছে।
ঈদ এলে ছোট পর্দার বিশেষ নাটকে দেখা যায় পপিকে। এবার সামনে রোজার ঈদে কি তিনি ছোট পর্দায় অভিনয় করবেন?
জবাবে পপি বলেন, সবসময়ই টিভি নাটকে কাজ করা হয় না। ঈদে ছোট পর্দায় দর্শকের জন্য মাঝে মাঝে কাজ করি। এবারও বেশকিছু কাজের প্রস্তাব এসেছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। হয়তো ভালো লাগলে কাজ করবো।
এদিকে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে আরিফুর জামান আরিফের পরিচালনায় ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ নামে একটি ছবিতে পার্বতীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে পপিকে। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শিগগির এ ছবির কাজ শুরু হবে বলে জানান পপি।
১৯৯৭ সালে ‘কুলি’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে রূপালী পর্দায় কাজ শুরু করেন পপি। এ পর্যন্ত ‘কারাগার’, ‘মেঘের কোলে রোদ’ ও ‘গঙ্গাযাত্রা’ এই তিন ছবিতে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এই অভিনেত্রী।