আইপিএলের একাদশ আসরে শনিবার উদ্বোধনী ম্যাচে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে গেছে মুস্তাফিজের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় তিন বারের আইপিএল ট্রফি জেতা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এক উইকেটে হারে টানা ২ বছর পর নির্বাসন কাটিয়ে মাঠে ফেরা ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। ক্যারিবিয়ান ডোয়েন ব্র্যাভোর ব্যাটে ভর করে দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় চেন্নাই। তাঁর অসাধারণ ইনিংসের সুবাদে রোমাঞ্চকর ম্যাচ জয়ের সাক্ষী হয়ে থাকল মুম্বাই।
মাঠে ফিরেই নিজের অবস্থানের জানান দিলেন ধনি। টস জিতে মুম্বাইকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠায় চেন্নাই। ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ১৮ বলে ১৫ রান করেন। পরে ঈশান কিষণ (৪০), হার্দিক পান্ডিয়া (অপরাজিত ২২) এবং ক্রুণাল পান্ডিয়া (অপরাজিত ৪১)।
মুম্বাইয়ের ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় চেন্নাইয়ের আট উইকেট পড়ে যায় ১১৮ রানে। তখন ধরে নেয়া হয়েছিল চেন্নাই হারছে। ঠিক সেই সময় শুরু হল ব্র্যাভোর দাপট। ৩০ বলে ৬৮।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার মারল তিনটে বাউন্ডারি, সাতটা ওভারবাউন্ডারি। যশপ্রীত বুমরা’র করা ১৯তম ওভারে তিনটে ছয় মারল ব্র্যাভো।
ওখানেই ঘুরে যায় ম্যাচ। কিন্তু ওই ওভারের শেষে ব্র্যাভো আউট হওয়ার পরে ফের ঝুলে যায় খেলা। কারণ ন’উইকেট পড়ে যায়। কিন্তু সেখান থেকে আর খেলায় ফিরে আসা সম্ভব হয়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।
ম্যাচ হেরে আইপিএল শুরু করে অনেকটাই হতাশ মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। স্বীকার করেন, ব্র্যাভোর ব্যাটের কাছে হারতে হয়েছে তাঁদের। বললেন, এই মুহূর্তে খুব হতাশ লাগছে। ব্র্যাভো ম্যাচটি ছিনিয়ে নিল। এধরনের ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষের কিছুই করার থাকে না। কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। ১৭ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। শেষ ৩ ওভার আমরা কোনো কিছুই ঠিকঠাক করতে পারিনি। ১৬৫ স্কোরবোর্ডে ভালো রান। ভালো বোলিং আরো করা উচিত ছিল। মনে হয়েছিল ১০ থেকে ১৫ রান কম হয়েছে। ব্র্যাভো দারুণ বল করেছে। তবে এটা প্রথম ম্যাচ। তাই একটা হারে কিছু আকাশ ভেঙে পড়েনি। এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।