উত্তর আফ্রিকান দেশ আলজেরিয়া। অ্যাথলেটিক্স কিংবা অন্য খেলার মত বক্সিং এদেশে ততটা জনপ্রিয় না হলেও, সম্প্রতি দেশটি মনোযোগী হয়ে উঠেছে বক্সিং খেলায়। তারই ধারাবাহিকতায় আলজেরিয়ায় হয়ে গেলো নারীদের জাতীয় পর্যায়ে বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা।
বক্সিং-এ নারীদের উন্নয়নে এ ধরণের প্রতিযোগিতা ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে বলে বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
অলিম্পিক কিংবা অ্যাথলেটিক্সে আলজেরিয়ার অংশগ্রহণ হরহামেশাই দৃশ্যমান। এসব ক্ষেত্রে দেশটির সাফল্য থাকলেও, বক্সিং এ বেশ পিছিয়ে দেশটি। বক্সিং এ পুরুষদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মত হলেও, এ দেশের নারীরা বেশ পিছিয়ে। সম্প্রতি বক্সিং এ নারীদের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির বক্সিং ফেডারেশন। তারই অংশ হিসেবে আলজেরিয়ার বউইরাতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো নারীদের জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা।
ফাতমা জাহরা। ১৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে আসেন বউইরাতে।
শুধুমাত্র বক্সিং এর প্রতি ভালোবাসা থেকে। শুধু অংশগ্রহণই না, জিতেছেন পদকও।
পেশাদারী বক্সার ফাতমা জাহরা বলেন, ‘আমি এখানে ভালো করেছি। যদিও আমাকে অনেক দূর থেকে আসতে হয়েছে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।’
ফাতমার এমন অর্জনে তাকে সহযোগিতা করেছেন তার বাবা ও কোচ মোহাম্মেদ বৌনুয়া।
কোচ ও ফাতমার বাবা মোহাম্মেদ বৌনুয়া বলেন, ‘আমরা এখানে বিমানে নয়, বাসে করে এসেছি। আমাদের তেমন সামর্থ্য নেই যে আমরা বিমানে আসবো। আমার মেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা চাইলে আরো ভালো করবে সে। তবে, আমাদের দূরত্বটা বেশি হয়ে গিয়েছে। যারা ভালো ফলাফল করেছে তাদের দিকে আয়োজক কমিটির নজর দেয়া দরকার।’
এদিকে, আলজেরিয়া বক্সিং ফেডারেশনের সভাপতি মনে করেন এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয় আলজেরিয়ায় নারীরা বক্সিং-এ এগিয়ে যাচ্ছে।
আলজেরিয়া বক্সিং ফেডারেশনের সভাপতি আবদেসলাম দ্রা বলেন, ‘২০ বছর আগে যখন নারীদের বক্সিং খেলা শুরু হয়। তখন এত বড় পরিসরে হতো না। কিন্তু এবার এই চ্যাম্পিয়নশিপে ১৫৫জন নারী বক্সার অংশগ্রহণ করেছে। যা এর আগে কখনো হয়নি। আর এতেই প্রমাণিত হয়। নারীরা বক্সিং-এ ভালো করছে। আশা করছি সামনে অংশগ্রহণ আরো বাড়বে। মেয়েরাও একদিন আমাদের আন্তর্জাতিক পদক জেতাবে।’
আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় ২৩ টি শহরের মোট ২৬টি পেশাদার ক্লাব অংশ নেয়।