শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত “দেশরত্ম, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ” বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, রাজনীতি করলে সাহস থাকতে হয়। জেল খাটার সাহস থাকতে হয়। কাপুরুষের মত বিদেশের মাটিতে বসে দেশে শব্দ বোমা ফাটিয়ে কোন লাভ নেই। যদি সাহস থাকে তাহলে রাজপথে আসেন।
বিএনপি নেত্রীর কারাবরণ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা তাকে (খালেদা) কারাগারে দেয়নি, যে আমরা বের করবো। যদি তাকে (খালেদা) আপনারা ভালোবেসে থাকেন, তাহলে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমেই তাকে বের করতে হবে।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবচেয়ে বড় কথা দেশে আন্দোলনের অবজেক্টিভ বলে কিছু আছে কি? তা না হলে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারের পরে আপনারা যে গণ অভ্যুথ্যানের আশা করেছিলেন তা তো বাতাসে উড়ে গেল। এমন কি বিএনপির ৫শ সদস্যের যে কমিটি আছে তারাও রাস্তায় নামেনি।
এ সময় তিনি বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, তাদের ৭ ধারাতেই বিএনপিকে ধরা যাবে। এই ৭ ধারা বাদ দেয়ার মাধ্যমে বিএনপির মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।
মেশিনগানের ও বর্জপাতের মত রজনীগন্ধা ও জুইফুলের গান গেয়ে লাভ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৫ থেকে ৬ মাস পর নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা হবে। তাই এখন সংবিধানের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। অন্য বিশ্বে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবে বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগে নতুন নেতৃত্ব বিকাশের নির্দেশনা আছে। অপেক্ষা করুন,সবই দেখতে পাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ ফরাশ উদ্দিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.সৈয়দ এলাহী পারভেজ প্রমুখ।