জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে আশাবাদী কক্সবাজারের স্থানীয়রা। তাদের প্রত্যাশা, এই সফরের পর জাতিসংঘের কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে আলোর মুখ দেখবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন। এদিকে লাখ লাখ রোহিঙ্গার চাপে স্থানীয়ভাবে সৃষ্ট নানা সমস্যার কথা জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সামনে তুলে ধরতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। আর এসব বিষয় মাথায় রেখেই এ সফরকে ঘিরে সরকার তৎপর রয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের চাপে নানামুখী সমস্যায় স্থানীয়রা। এমনকি অনেকের চাষের জমিও চলে গেছে রোহিঙ্গা শিবিরের আওতায়। এছাড়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের চাপে পরিবেশের পাশাপাশি বিরূপ প্রভাব পড়ছে স্থানীয়দের সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ দৈনন্দিন জীবনে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি তারা। এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের দ্রুত তাদের নিজ দেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।
সরকারের নানা তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও আজও আলোর মুখ দেখেনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। তবে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের কক্সবাজার সফরকে ঘিরে আশার সঞ্চার হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। সফর শেষে দ্রুত রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘ কার্যকর পদক্ষেপ নিবে বলে আশা তাদের।
এদিকে রোহিঙ্গাদের কারণে সৃষ্ট স্থানীয়দের বিভিন্ন সমস্যার কথাও জাতিসংঘের কাছে তুলে ধরতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এসব বিষয় মাথায় রেখেই সরকারের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, ‘জাতিসংঘের যে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে তাদের মাধ্যমে দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আসাতে আমাদের হোস্ট কমিউনিটি যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা আমরা তাদের কাছে উল্লেখ করবো।’মোট ২০টি ব্লকে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের জনসংখ্যার দ্বিগুণ। রোহিঙ্গাদের কারণে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কক্সবাজারের প্রায় ৪ লাখ মানুষ।