সারা দেশেই কমবেশি কালবৈশাখীসহ ভারি বর্ষণ হচ্ছে। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টা তা অব্যাহত থাকতে পারে।সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখীসহ ভারি বর্ষণ হয়েছে। আগামী দুদিনও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া কার্যালয় জানায়, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ও ভারি থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটার পর্যন্ত) বর্ষণ এবং বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।এ ছাড়া আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঢাকা, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বা আরো অধিক বেগে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বিছিন্নভাবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায়, অর্থাৎ আগামী তিন দিন বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া কার্যালয় জানিয়েছে।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।এদিকে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর ওপর দিয়ে বইছে ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি।
সকাল থেকে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে কালো হয়ে আসে আকাশ। সেইসঙ্গে আকাশে কালো মেঘের গর্জন এবং নেমে আসে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। পরিস্থিতি এমন যে দুপুরবেলাতেও গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
আর টানা তিন দিন ছুটির পর ঘর থেকে বের হওয়া কর্মজীবী মানুষরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
গতকালের বৈশাখী ঝড় এবং বৃষ্টিতে রাজধানীতে তৈরি হয়েছিল জলাবদ্ধতা এবং বজ্রপাতে সারা দেশে মারা গিয়েছিল ১৯ জন। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিন থাকতে পারে এই ঝড়বৃষ্টি।