মানব সভ্যতার সবচেয়ে নিকৃষ্ট এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন পিতারূপী এক নরপিশাচ। তার নিজের মেয়ে কিম চাউন (৫৩) তারই বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। বলেছেন, ১৪ বছর বয়স থেকে তার পিতা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক লেকচারার ফ্রাঁসিস বিউমন্ট (৭৯) তাকে ধর্ষণ করেছে। হুমকি দিয়েছে, এ কথা কারো কাছে ফাঁস করলে তার দেহ এসিড দিয়ে গলিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে। এ অভিযোগে বিউমন্টকে ২০ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কিম চাউন যখন টিনেজ বা শিশু বয়সে তখনই তাকে ধর্ষণ শুরু করে বিউমন্ট। এতে কিম চাউন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।এর ফলে তাকে দু’বার গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হয়। এসব ঘটনা ঘটে ইয়র্কশায়ার ও গিসলেতে। বৃটেনের লিডস ক্রাউন কোর্টে এ বিষয়ে শুনানি হয়েছে। সেখানে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের পিতার বিরুদ্ধে শারীরিক, যৌন ও মানসিক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন কিম চাউন। সেখানে বলা হয়, মেয়ে কিম চাউনকে একবার কেনিয়া নিয়ে যায় বিউমন্ট। সেখানেই তার পাশবিকতা শুরু হয়। তারপর তাকে এলকোহল পান করতে অভ্যস্ত করে তোলে। এতে আসক্ত হয়ে পড়েন কিম চাউন। সেই আসক্তি কাটিয়ে উঠতে তার অনেক সময় লেগেছে। কেনিয়া থেকে মেয়েকে নিয়ে লিডসের কাছে ওয়েস্ট ইয়র্কের গিসলেতে ফিরে যায় বিউমন্ট। সেখানে কিম চাউনের বয়স ২০ বছর না হওয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখে সাবেক ওই লেকচারার। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে বৃটেনে ঘটে যাওয়া এমন অপরাধের জন্য বিউমন্টকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।