তালিকার শীর্ষ স্থান নিয়ে আইএসএসএফ ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ আসর শেষ করলো বাংলাদেশ। আসরে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫টি স্বর্ণ, ৫টি রৌপ্য ও একটা ব্রোঞ্জসহ মোট ১১টি পদক। গত আসরের তুলনায় এবার একটি স্বর্ণপদক কমেছে বাংলাদেশের। তবে মোট পদক জয়ে আগেরবারের সাফল্যকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। গত আসরে ছয়টি সোনা, একটি রৌপ্য ও দু’টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন বাংলাদেশের আর্চাররা। মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামের টার্ফে গতকাল মেয়েদের কম্পাউন্ড ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণ জয় করেন রোকসানা আক্তার।কম্পাউন্ড পুরুষ ব্যক্তিগত ইভেন্টের ফাইনালে দুই প্রতিযোগীই বাংলাদেশের হওয়ায় সোনা-রুপা আগেই নিশ্চিত ছিল স্বাগতিকদের। গতকাল ফাইনালে ১৪০-১৩৪ পয়েন্টে আবুল কাশেম মামুনকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জেতেন অসীম কুমার দাস। পরে  উচ্ছ্বসিত অসীম বলেন, ‘যে কোনো পর্যায়ের আরচারিতে এটা আমার ব্যক্তিগত প্রথম সোনা জয়। সকালে মামুন ভাই দলীয় ইভেন্টে খারাপ খেলেছেন, তখনই আমার মনে হয়েছিল আমার সুযোগ আছে। এরপর ব্যক্তিগত ইভেন্টে আমি নিজের খেলা খেলে গেছি, মামুন ভাই আর ফর্মে ফিরতে পারেননি।’ পুরুষ রিকার্ভের দলগত বিভাগে নেপালকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। রোমান-তামিমুল ইসলাম ও ইব্রাহিম শেখের বাংলাদেশ দল ফাইনালে জয় দেখে ৫-১ সেটের ব্যবধানে। কম্পাউন্ড পুরুষ দলগত বিভাগে ইরাককে ২২৫-২০৫ পয়েন্টে হারিয়ে সোনা জেতে বাংলাদেশ। এই ইভেন্টে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেন অসীম, মামুন ও আশিকুজ্জামান অনয়।
কম্পাউন্ড মেয়েদের দলগত ইভেন্টেও দাপুটে জয়ে স্বর্ণ কুড়ায় বাংলাদেশ। ফাইনালে মরক্কোকে ২১৬-১৫২ পয়েন্টে হারান রোকসানা-বন্যা-রিতু আক্তারকে নিয়ে গড়া বাংলাদেশ দল। তবে মেয়েদের রিকার্ভ দলগত বিভাগে দারুণ লড়াইয়ের পর ৫-৪ সেটে আজারবাইজানের কাছে হেরে যায় নাসরিন আক্তার-বিউটি রায় ও রাদিয়া আক্তার শাপলাদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ দল। রিকার্ভ পুরুষ ব্যক্তিগত ইভেন্টের ফাইনালে রোমান সানা ৭-১ ব্যবধানে হারেন সৌদি আরবের আবদুল্লাহ বিন আলীর কাছে। রিকার্ভ মিশ্র দলগত বিভাগের ফাইনালে রোমান-নাসরিন ৫-১ সেটে হার দেখেন  তুরস্কের জুটির বিপক্ষে। আর কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ইভেন্টে ইরাকের কাছে ১৪৬-১৪৩ পয়েন্টে হার নিয়ে রৌপ্য পদকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়  রোকসানা-অসীম জুটিকে। দল চ্যাম্পিয়ন হলেও শিষ্যদের পারফরম্যান্সে খুশি নন বাংলাদেশের কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক। তিনি বলেন, ‘কিছু ম্যাচ দেখে খুশি হতে পারিনি। কিছু কঠিন ম্যাচ ছিল; রিকার্ভের যেগুলো জেতা সত্যিই কঠিন ছিল। কিন্তু আমি কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে চাই না। ওদের নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে আমাদের। ৫টি সোনা জয়ে আমি খুশি তবে কিছু ম্যাচে স্বর্ণ হারানোয় কিছুটা হলেও হতাশ।’ আসরে একটি স্বর্ণসহ চারটি পদক নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ইরাক।