আইসিল বা আইসিসমুক্ত ইরাকে প্রথম জাতীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন হচ্ছে আজ শনিবার। নির্বাচিত পার্লামেন্ট নতুন সরকার গঠনের ভিত্তি রচনা করবে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইরাক আগ্রাসনের পর ইরাকে এটা চতুর্থ পার্লামেন্ট নির্বাচন। বর্তমানে জাতিগত সহিংসতায় সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় আছে। ইরাককে ক্ষয়ে দিচ্ছে এ অবস্থা। ঠিক এ সময়ে একীভূত ইরাক, বহু জাতির সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আশা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে অনেক দল। এর আগে ২০১০ সালে সেখানে নির্বাচন হয়।তারপর ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়। তখন রাজনৈতিক বড় বড় জোট গঠিত হয়েছিল। কিন্তু আজ যে নির্বাচন হচ্ছে তাতে ছোট ছোট ভাগ হয়ে তারা নির্বাচন করছেন। এর মধ্যে আছেন শিয়া, সুন্নি ও কুর্দিদের অংশ। আজকের এ নির্বাচনকে প্রথম জাতীয় গণভোট হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর কারণ, ২০১৭ সালে ইরাক থেকে আইসিল বা আইসিসকে পরাজিত করা হয়েছে। এ নির্বাচনে কাউন্সিল অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৩২৯ জন সদস্যকে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত এ সদস্যরা আবার ইরাকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচনে তাই অংশ নিচ্ছে ৮৭ টি দল। এর মধ্যে মোট প্রার্থী সংখ্যা হলো ৬৯৯০। মোট প্রার্থীর মধ্যে নারীর সংখ্যা প্রায় ২০১১। তারা পাবেন পার্লামেন্টের ৮৩ আসন। ৯টি আসন বরাদ্দ রাখা হবে সংখ্যালঘুদের জন্য।