(স্বদেশ নিউজ ২৪.কম) শোবিজে এখন আলোচনা কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার ও অভিনেত্রী তানিয়া হোসেনের বিয়ে নিয়ে। বিয়ে এখনো হয়নি, তবে হবে। এরই মধ্যে বাপ্পার ‘সাবেক’ স্ত্রী চাঁদনী গত ৩০মে বুধবার রাত ১০ টায় উপস্থিত হয়েছিলেন একুশে টেলিভিশনের ‘উইথ নাজিম জয়’ নামের একটি টিভি শোতে। সেখানে বাপ্পা-চাঁদনীর দাম্পত্য জীবন ছাড়াও বাপ্পার সঙ্গে তানিয়ার বিয়ের প্রসঙ্গ নিয়েও আলাপচারিতা হয়। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় বরাবরের মতোই ছিলেন শাহরিয়ার নাজিম জয়।
তার একদিন পর অর্থাৎ ৩১ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে তানিয়া হোসেন টিভি প্রোগ্রাম উপস্থাপনা বিষয়ে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেই স্ট্যাটাসটি আবার বাপ্পা মজুমদার শেয়ার দিয়েছেন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে।
তানিয়া হোসেন লিখেছেন, “উপস্থাপনা নিয়ে আমার সিনিয়র কাউকে জ্ঞান দিতে যাব, এত বড় দুঃসাহস আমার নাই ভাই। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে, স্টেজ শো, কর্পোরেট ইভেন্টস, কনসার্ট, টিভি লাইভ অ্যান্ড প্রোগ্রাম আমরা যারা এই কাজটি অত্যন্ত পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা এবং ধৈর্য-এর সাথে করে চলেছি, তারা জানি কতখানি অভিজ্ঞতা, শব্দচয়ন, শব্দের সঠিক প্রয়োগ, বাক্য গঠন, বাক্যের উদ্দেশ্য-বিধেয় নিয়ে ভেবে তারপর আমরা কাজটি কত যত্ন সহকারে করার চেষ্টা করে থাকি।
আপনি যখন হোস্ট/প্রেজেন্টার তখন আপনার অতিথি বা আর যার সম্পর্কেই কথা বলছেন না কেন, আপনার তো কোনো অধিকার নেই তাকে অসম্মান করে কথা বলার, অথবা এমন কোনো শব্দ ব্যবহার করা যা একটি ন্যাশনাল টিভি চ্যানেলে অনএয়ার হওয়া কতটা শোভন বা সমীচীন সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ।
এ ক্ষেত্রে, ‘ফান’ আর ‘অপমান’-এর পার্থক্য বোঝার দায়িত্ব একজন উপস্থাপকের পাশাপাশি প্রোগ্রাম প্রোডিউসারের ওপরও বর্তায়। একজন প্রোডিউসার পুরো প্রোগ্রামের দায়ভার বহন করেন। খালি ৫, ৪, ৩, ২, ১, ০ অ্যাকশন বলাই প্রোডিউসারের একমাত্র কাজ না ভাই। যত মহান প্রেজেন্টারই হোক, কনট্রোল তো প্রোডিউসার ভাই আপনার হাতে, নাকি তাও নাই?
আর ব্রিলিয়ান্ট অ্যাংকরিং হয় যখন, তখন কিন্তু এই আপনাকেই বাহবা দিতে পিছুপা হই না আমরা। তাই বলে, ফান শো বলে অন্যের মর্যাদাহানি করে নিজেদের শো’র কাটতি, জনপ্রিয়তা বলে দাবি কামানোর অপচেষ্টা কতখানি প্রোফেশনাল অথবা ডিগনিটির এর আওতায় পড়ে?
কী নিয়ে ফানটা করছেন ভাই? সত্যি মিথ্যা পুরোটা না জেনে, অন্যের ব্যাপারে যথেচ্ছাচার শব্দের প্রয়োগ ঘটিয়ে খুব হাসি তামাশা, না ভাই!”