ড. আনিসুজ্জামান, হাসান আজিজুল হক, রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদ, নির্মলেন্দু গুণ, নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, মফিদুল হক, গোলাম কুদ্দুছ ও হাসান আরিফ। ছবি: সংগৃহীত

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, সাংস্কৃতিকব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন আতাউর রহমান ও মামুনুর রশীদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, সাংস্কৃতিকব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও মফিদুল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সারাদেশে যে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে তার যৌক্তিকতা আমরা অনুধাবন করি। দেশে খুব কম পরিবার আছেন যারা মাদকের ভয়াবহতা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছেন। তাই সঙ্গত কারণে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনও এই অভিযানে প্রত্যাশিত, কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন। যা অভিহিত করা হচ্ছে বন্দুকযুদ্ধে নিহত বলে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় এমন মৃত্যু কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। সংবিধানে প্রদত্ত জীবনের অধিকার এভাবে কেড়ে নেওয়া যায় না।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় কিছু নিহত ব্যক্তি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। টেকনাফে নিহত পৌর কমিশনার একরাম-এর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার পূর্ব অভিযোগের কথা জানা যায়নি। তাকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌর মেয়র। তাঁর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে হত্যাপূর্ব ফোনালাপ সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেছেন। যা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজে অকল্পনীয়। এরকম একটি ঘটনাই সমগ্র অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ ও জনগণকে আতঙ্কিত করতে যথেষ্ট।’

এ ছাড়া ওই বিবৃতিতে যত দ্রুত সম্ভব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে সঠিক তথ্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে ভয়ভীতি থেকে মানুষকে মুক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই ১০ বিশিষ্ট নাগরিক।