তিনি লিখেছেন, ‘আয়ারল্যান্ডে সাত বছরের চুলকানি অর্থ্যাৎ ‘সেভেন ইয়ার্স ইচ’ নামে একটি কথা প্রচলিত আছে। ওরা মানে বা মনে করে বা জানে, প্রতিটি বৈবাহিক সম্পর্কে বা প্রেমের সম্পর্কতে সাত বছর পর টানাপড়েন শুরু হয়, সম্পর্কটি কেমন যেন বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, ভালো না লাগার কারণগুলো মুখ্য হয়ে যায়, ঐ সম্পর্ক থেকে ছুটকারা পাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। ঐ ‘সেভেন ইয়ার্স ইচ’ টার্মে, অর্থ্যাৎ এই আশেপাশের সময়ে কোনো কাপল যদি কোনোভাবে সার্ভাইভ করতে পারে, তাহলে পরবর্তী সাতবছর তারা একসাথে কাটিয়ে ফেলতে পারে, কিন্তু সাত বছর পর আবার সেই চুলকানি আসে।
এই বিষয়টি মাথায় রেখে যদি কোনো কাপল দুই থেকে তিনবার ‘সেভেন ইয়ার্স ইচ’ সার্ভাইভ করতে পারে, তাদের সম্পর্ক চিরদিনের।
কে কে ভুগেছেন বা ভুগছেন ‘সাত বছর চুলকানি’ রোগে? একে মেনে নিন, মোকাবেলা করুন কিন্তু সম্পর্ক ভাঙবেন না।’
১৯৮৯ সালে ঢাকার ফার্মগেটে জন্ম হলেও প্রিয়তিদের আদি বাড়ি কুমিল্লায়। বাবা আবদুর রশিদ মারা গেছেন প্রিয়তির আট বছর বয়সে। মা মোহছেন আরা মারা যান ২০০৮ সালে। ছয় ভাই দুই বোনের মধ্যে প্রিয়তির অবস্থান সপ্তম। ২০০১ সালে উচ্চশিক্ষার্থে আয়ারল্যান্ড চলে যান তিনি। আয়ারল্যান্ডে গিয়ে মাইক্রোসফট সার্টিফাইড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন। মডেলিং ও অভিনয় জীবনে প্রিয়তি অর্জন করেছেন অনেক স্বীকৃতি ও পুরস্কার। তার মধ্যে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে ইন্টারন্যাশনাল রানওয়ে কুইন্স রিকগনেশন অ্যাওয়ার্ডসে পুরস্কৃত হন তিনি। এ ছাড়াও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মিস ইউনিভার্সাল রয়্যালটি ২০১৩, আয়ারল্যান্ডে মিজ আয়ারল্যান্ড ২০১৪, মিস হট চকোলেট ২০১৪, মিস ফটোজেনিক ২০১৪, সুপার মডেল অব দ্য ইয়ার ২০১৪, মিস আয়ারল্যান্ড আর্থ ২০১৫ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মিস আর্থ হিসেবে প্রথম রানার-আপ হওয়ার পর মিস আর্থ ইন্টারন্যাশনাল খেতাব পান ২০১৬ সালে, মিস কমপ্যাশনেট ২০১৬, মিস বেস্ট গাউন ২০১৬, মিস ফিটনেস ২০১৬ হয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে ছেলে আবরাজ আর মেয়ে মৌনীরার মা তিনি।