তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছে। রোববার দেশটির পূর্ব উপকূলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কোস্টগার্ডের সদস্যরা ৬৭ জন আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আরোহীদের সবাই অভিবাসনের প্রত্যাশায় ইউরোপে যাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কারণে নৌকাটি ডুবে গেছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।খবরে বলা হয়, ইউরোপে অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য তিউনিসিয়া উপকূল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ। সাধারণত আফ্রিকান অভিবাসীরা এ পথ ব্যবহার করে গোপনে ইউরোপে পাড়ি জমান। বিশেষ করে বেকার তিউনিসিয়ানরা রাবারের নৌকায় চড়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির সিসিলিতে পাড়ি জমান। সম্প্রতি অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে লিবিয়ার কোস্টগার্ড কড়াকড়ি আরোপ করে। এর পর থেকেই তিউনিসিয়া উপকূলের ব্যবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়। ঝুঁকিপূর্ণভাবে সাগর পাড়ি দেয়ার কারণে এ অঞ্চলে দুর্ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটিতে প্রায় ১৮০ জন আরোহী ছিল। এদের মধ্যে ১০০ জনই তিউনিসিয়ার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তিউনিসিয়ার কারকেন্নাহ দ্বীপ থেকে পাঁচ মাইল দুরে নৌকাটি ডুবে যায়। উদ্ধার কর্মীরা ৬৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। সোমবার আবারো উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হবে। নৌকাটির আরোহী এক যাত্রী বলেন, নৌকাটি ডুবতে শুরু করলে চালক গ্রেপ্তার এড়াতে নৌকা থেকে লাফ দেন। আরেক আরোহী বলেন, নৌকাটির সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ছিল ৯০ জন। অথচ নৌকার আরোহী ছিল এর দ্বিগুণ। তিনি বলেন, নৌকাটিতে এত বেশি যাত্রী ছিল যে, আমরা হাত দিয়ে পানি স্পর্শ করতে পারছিলাম। ঢেউয়ের পানিও খুব সহজেই আমাদের নৌকার মধ্যে প্রবেশ করছিল। ডুবে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেকেই পানিতে লাফ দেয়। অন্যরা নৌকাসহ ডুবে যায়। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর তথ্য অনুযায়ী, এ বছরে ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষ অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছে। আর যাত্রা পথে নিহত হয়েছে ৬৬০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী।