(স্বদেশ নিউজ ২৪.কম) বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে জন্মনিরোধক সামগ্রী প্রতিবেশী দেশ ভারতে পাচার হচ্ছে। ফলে দেশে জন্মনিরোধক সামগ্রীর মজুদ আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে।
৫ জুন, মঙ্গলবার বণিক বার্তায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ‘সুখী’ কন্ট্রাসেপটিভ পিলে আসামের বাজার সয়লাব। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ভোক্তাপর্যায়ে পিলটির ক্রমবর্ধমান ব্যবহারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
‘যেহেতু ভারতে সুখী পিল ব্যবহারের কোনো অনুমোদন নেই, সেহেতু এগুলো এখানে ব্যবহার না করাই উচিত’ বলেছেন ভারতের গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের অবস্টেট্রিকস অ্যান্ড গাইনেকোলজি বিভাগের আরকে তালুকদার।
বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিনামূল্যে জন্মনিরোধক সামগ্রী বিতরণ করে সরকার। এসব সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে কনডম, ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল (খাবার বড়ি), ইন্ট্রা-ইউটেরিন ডিভাইস বা আইইউডি, ইমপ্লান্ট ও ইনজেক্টেবল। যার বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়।
জানা গেছে, ইনজেক্টেবল ও ইমপ্লান্ট ছাড়া বাকি সবকটি সামগ্রীর মজুদ প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ক্রমেই জন্মনিরোধক সামগ্রীর মজুদ ফুরিয়ে আসছে। বর্তমানে যা মজুদ আছে, তা কয়েক মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।
এক যৌথ চিঠির মাধ্যমে মজুদ কমে আসার বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), এফপি ২০২০, ইউএসএআইডি, বিশ্ব ব্যাংকসহ কয়েকটি দাতা সংস্থা। যত দ্রুত সম্ভব, প্রয়োজনীয় জন্মনিরোধক সামগ্রী আমদানির উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মজুদ সংকটের কারণে দেশের পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনায় ভয়াবহ বিপর্যয় নামার শঙ্কাও প্রকাশ করছেন তারা। কারণ জন্মনিরোধক সামগ্রী প্রস্তুতকারী দেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।