(স্বদেশ নিউজ ২৪.কম) ১৯৭৭ সালে এক নারীর গর্ভপাতের পর শিশুটিকে মৃত মনে করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরেও সে বেঁচে যায়।
৫ জুন, মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ ঘটনাটি উঠে এসেছে।
১৯৭৭ সালে ১৯ বছর বয়সী এক নারীর গর্ভপাতের পর আট মাস বয়সী, দেড় কেজিরও কম ওজনের শিশুটিকে মৃত মনে করে হাসপাতালের অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু তার ক্ষীণ কান্না শুনতে পেয়ে এক নার্স তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তাকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়।
ডাক্তাররা ভাবেন, শিশুটি হয়তো অন্ধ হয়ে যাবে অথবা তার হৃৎপিণ্ডে বড় কোনো সমস্যা হবে। কিন্তু সে দিব্যি সেরে ওঠে। তাকে দত্তক নেয় এক দম্পতি। তার নাম রাখা হয় মেলিসা ওহডেন।
মেলিসার বয়স যখন ১৪ তখন সে জানতে পায়, তার মা তাকে গর্ভপাতের মাধ্যমে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। তা জানার পর থেকেই সে প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকে। ১৯ বছর বয়সে এ অভিজ্ঞতা নিয়ে এক বই লেখে মেলিসা।
এক পর্যায়ে নিজের আসল মাকে খোঁজা শুরু করে মেলিসা। মায়ের সঙ্গে প্রথম দেখার পর সে বিস্ময়কর কিছু তথ্য জানতে পারে।
প্রথমত, মেলিসার মা জানতেন না তার শিশুটি যে বেঁচে গেছে। এমনকি তিনি এটাও জানতেন না তার শিশুটি মেয়ে না ছেলে। তাকে না জানিয়েই মেলিসাকে দত্তক দেওয়া হয়।
দ্বিতীয়ত, মেলিসার মা গর্ভপাতে মোটেই আগ্রহী ছিলেন না। বরং মেলিসার নানী এ কাজে বাধ্য করে তাকে। মেলিসার নানী ওই হাসপাতালেরই এক নার্স ছিলেন।
এসব জানার পর মেলিসা বলেন, ‘তার ওপরে আমার মোটেই রাগ নেই। জীবনে আমরা সবাই কিছু না কিছু ভুল করি।’
শুধু তাই নয়, বর্তমানে ৪১ বছর বয়সী মেলিসা মনে করেন তিনি খুবই ভাগ্যবান। একে তো তিনি সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বের হয়ে এসেছেন। তার ওপর তিনি নিজের মাকেও খুঁজে পেয়েছেন এত বছর পর। বর্তমানে দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস শহরে বাস করছেন।