ভারতের কেরালায় প্রথমবারের মতো নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন আরও ২০ জন। এরইমধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কায় কেরালা থেকে ফলমূল ও সবজি আমদানি নিষিদ্ধ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। আর কেরালার ফল বিক্রেতার দাম অর্ধেক কমিয়ে দিয়েও কোনও ক্রেতা পাচ্ছেন না।
বিশ্বে মহামারী ঘটাতে পারে এমন আটটি অগ্রাধিকার পাওয়া রোগের একটি হিসেবে নিপাহ ভাইরাসকে লিপিবদ্ধ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু। তাই প্রতিবেশী দেশে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ কী বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
best ফল আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের সমিতি বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফআইএ) সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম কিন্তু এমনটা মনে করছেন না। তিনি বলেন, নিপাহ ভাইরাস নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ ভারতে এখন ফলের মৌসুম না। আর বাংলাদেশে এখন আম-লিচুর মৌসুম। তাই আমদানিও খুব একটা করতে হচ্ছে না।
ফল ব্যবসায়ীদের এই নেতা আরও বলেন, তাছাড়া আমরা কেরালা থেকে কোনও ফল আমদানি করি না। আমি যতটুকু জানি সেখান থেকে আদা আমদানি করা হয়। কিন্তু সেটা তো মাটির নিচে থাকে।
এদিকে বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের কোনও খবর শোনা যায়নি। আর এটি নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণও নেই বলে জানাচ্ছেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে আইসিডিডিআরবির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. জুবায়ের চিশতী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাস আক্রান্ত কোনও রোগীর খবর পাইনি। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ারও কোনও কারণ নেই। এই রোগের সংক্রমণটা সাধারণত শীতকালে হয়ে থাকে। কারণ এসময় খেজুরের রস বাদুড়ে খায়। যেহেতু নিপাহ ভাইরাস বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়ায়।