শেষ সময়ের গোলে বদলে যাচ্ছে ম্যাচের ফলাফল। রাশিয়া বিশ্বকাপের সবচেয়ে পরিচিত ঘটনাই যেন এটি। ইংল্যান্ড -কলম্বিয়া ম্যাচেও হয়েছে তাই। এক গোলে পিছিয়ে থেকে শেষ সময়ের গোলে সমতায় আসা কলম্বিয়া টাইব্রেকারে হেরেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে ম্যাচ হেরে কলম্বিয়ার অধিনায়ক রাদামলে ফ্যালকাও অভিযোগ করেছেন, পক্ষপাতিত্ব করেছেন রেফারি।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে সাজানো প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটে কলম্বিয়ার ডিফেন্সিফ মিডফিল্ডার কার্লোস সানচেজ ডি বক্সের ভেতরে ফাউল করে বসেন ইংলিশ তারকা হ্যারি কেইনকে। ফলে পেনাল্টি পায় থ্রি লায়নসরা। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেয় কেইন নিজেই।
পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া কলম্বিয়া আরাধ্য গোলের দেখা পায় ৯৩ মিনিটে। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও খেলার ভাগ্য নির্ধারণ না হলে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারেই আসে ফলাফল। ৪-৩ ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যায় ইংল্যান্ড।
ম্যাচ হেরে ফ্যালকাও অভিযোগ করেছেন রেফারি তাদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন। বলেন, ‘রেফারি সব সময় ইংল্যান্ডের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এই ম্যাচে আমেরিকান রেফারি থাকার বিষয়টি আমার অদ্ভুত লেগেছে।
সত্যি বলতে, পুরো প্রক্রিয়াটি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। তিনি শুধুমাত্র ইংরেজিতে কথা বলেছিলেন, তাতে কিছু পক্ষপাতিত্ব নির্দিষ্ট ছিল। ছোট ছোট সিদ্ধান্তগুলোও তিনি আমাদের বিপক্ষে দিচ্ছিলেন যা আমার কাছে পুরোপুরি পরিষ্কার।’
ম্যাচে মোট ফাউল হয়েছে ৩৬টি। যার ২৩টি করেছে কলম্বিয়ার খেলোয়াড়রা। অন্যদিকে মোট আটটি হলুদ কার্ডের ছয়টি এসেছে কলম্বিয়ার বিপক্ষে।
ফ্যালকাও বলেন, ‘রেফারি আমাদের অনেক বিরক্ত করেছে। রেফারি ইংল্যান্ডের পক্ষে ছিল। এটি আমাদের মানসিকভাবে চাপে ফেলেছে। সে দুই দলকে সমান পাল্লায় মাপেনি।
যখনই তিনি কোনো বিষয়ে অনিশ্চিত হয়েছেন তখনই তিনি ইংল্যান্ডের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্বকাপের শেষ ষোলতে এমন ঘটনা খুবই লজ্জাজনক।’