পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন এখন থেকে আর ১০ দিন পরেই। তবে এ নির্বাচনে সব বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা হুমকিতে রয়েছেন। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে শনিবার এ বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় সন্ত্রাস বিষয়ক কর্তৃপক্ষ (এনএসিটিএ) প্রধান ড. সুলেমান আহমেদ।
তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে বলেছেন, রাজনৈতিক নেতা ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা মারাত্মক নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছেন। সব রাজনৈতিক দলের বড় বড় নেতার ওপর হামলা হতে পারে। পাকিস্তানের অনলাইন ডন এ খবর দিয়েছে।এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের কাছে দেশে রাজনৈতিক দলের নেতা, নির্বাচনে প্রার্থী ও দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফ করেন ড. সুলেমান আহমেদ।
তিনি বলেছেন, এসব হামলা চালাতে পারে সন্ত্রাসীরা। তারা ব্যবহার করতে পারে ইমপ্রোভারাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস ও আত্মঘাতী বোমা। কয়েকদিন আগে সিনিয়র একজন কর্মকর্তা এমন হুমকিতে থাকা ৬ জন রাজনীতিকের নাম উল্লেখ করেন। এরপরই ড. সুলেমান ওই ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য দিলেন। এরই মধ্যে খাইবার পখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৩৩ জন নিহত হয়েছে। এতে অনেকেই স্তম্ভিত হয়েছেন এ জন্য যে, খাইবার পখতুনখাওয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আকরাম দুরানির নাম ছিল হামলার শিকার হতে পারেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে।
শুক্রবারের ওই হামলায় তিনি আহত হয়েছেন। তবে তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। এ জন্য এনএসিটিএ বিশেষ সন্ত্রাসী এলার্ট জারি করেছে। এ ছাড়া আরো যেসব নেতা হুমকিতে রয়েছেন তার মধ্যে আছেন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ চেয়ারম্যান ইমরান খান, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি নেতা আসফান্দার ওয়ালি খান, আমির হায়দার হোতি, কওমি ওয়াতান পার্টির প্রধান আফতাব শেরপাও ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুদ দাওয়া প্রধান হাফিস সাঈদের ছেলে তালহা সাঈদ। আলাদাভাবে সিনেটের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিকে বলা হয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সিনিয়র নেতারা ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের নেতারা ঝুঁকিতে রয়েছেন।