ভারতে ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) কোর্সে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রান্স এক্সামে (নিট) কয়েকটি বিভাগে শূন্য পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী এমবিবিএস পড়ছেন।
১৬ জুলাই, সোমবার একটি সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানানো হয়, ২০১৭ সালের নিট পরীক্ষায় এক হাজার ৯৯০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭২০ জন পেয়েছেন মাত্র ১৫০ নম্বর। ১১০ জন ছাত্র কয়েকটি বিষয়ে শূন্য বা তারও কম পেয়েছেন। এ ছাড়া ৪০০ জনেরও বেশি পড়ুয়া পেয়েছেন পূর্ণ এক অংকেরও কম নম্বর।
প্রথমে বলা হয়েছিল, নিট পরীক্ষায় প্রত্যেক বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতেই হবে। কিন্তু পারসেনটাইল চালু হওয়ায় আগের শর্ত উঠে যায়।
২০১৭ সালের নিট পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা ও গণিতে পৃথকভাবে কোনো ন্যূনতম নম্বরের ব্যবস্থা ছিল না। ওই পরীক্ষায় সব মিলিয়ে ৫৩০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে শূন্য বা এক অঙ্কের নম্বর পেয়েও বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছেন। পরে ২০১৭ সালের নিট পরীক্ষার পরই এমবিবিএসে ভর্তি হন তারা। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। অনেকে মন্তব্য করছেন, শূন্য পেয়েই যদি ডাক্তারিতে সুযোগ মেলে, তাহলে নিট পরীক্ষায় বসার কোনো মানে নেই।
ভারতের বেসরকারি কলেজে বছরে অন্তত ১৭ লাখ টাকা খরচ করে এমবিবিএস পড়তে হচ্ছে ছাত্রদের। হোস্টেল বা লাইব্রেরির খরচ ছাড়াও তাদেরকে এই পরিমাণ অর্থ দিতে হবে।
শিক্ষাবিদদের অভিযোগ, নিজেদের বোর্ডেই পরীক্ষা দেওয়ার কারণে পাস করতে অসুবিধা হবে না ছাত্রদের। কাজেই পরবর্তীতে ডাক্তারি প্র্যাকটিসে কোনো বাধা থাকবে না।