চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পারিবারিক ঝগড়ার জেরে তিন ‘শ্যালকের’ পিটুনিতে দুলাভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ওই তিন শ্যালককে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।

২২ জুলাই, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ মার্দাশা এলাকার মাহলুমা বাজারসংলগ্ন মৌলভী ওবায়দুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. আনোয়ার (৪০) নাটোরের লালপুর থানাধীন গোপালপুর গ্রামের মতিন আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে। তিনি ঘরজামাই ছিলেন। আটক তিন শ্যালক হলেন ফার্নিচার মিস্ত্রী জাহাঙ্গীর (২৪), ব্যবসায়ী আলমগীর (৩০) ও দর্জি নজরুল (৩২)।

স্থানীয়রা জানায়, টেম্পু চালক আনোয়ার প্রায়ই তার স্ত্রী মনি বেগমের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। রবিবার বিকেলেও আনোয়ার তার স্ত্রীকে মারধর করে।

বোনের ওপর স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রাতে তিন ভাই একত্রিত হয়ে আনোয়ারকে কিল ঘুষি লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে শ্যালক জাহাঙ্গীর টর্চ লাইট দিয়ে আনোয়ারের মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ করে আনোয়ারের দুই শিশুপুত্র।

গুরুতর আহত আনোয়ারকে তারা প্রথমে হাটহাজারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরে অন্য একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাবার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আনোয়ারের স্ত্রী মনি বেগমের দাবি, ১৮ বছর আগে খালাতো ভাই আনোয়ারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সংসারে তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। বিদেশে যাওয়ার জন্য তার স্বামী আনোয়ার প্রায় সময় মারধর করত। আনোয়ার দ্বিতীয় বিয়ে করেছে বলেও জানান মনি।

এনিয়ে তাদের সংসারে ঝগড়া ফ্যাসাদ চলে আসছিল। রাতে তার ভাইয়েরা আনোয়ারকে কিল থাপ্পড় মারলে তিনি মারা যান বলে স্বীকার করেন মনি।

হাটহাজারী থানার ওসি মো. বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ভাইকে আটক করা হয়েছে।