আবারো তীরে এসে তরী ডুবলো। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় এবারেও হেরে গেল বাংলাদেশ। আরো একটি জয়ের দারপ্রান্ত থেকে হতাশ হতে হলো টাইগারদের। ৩ রানের দারুণ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা আনলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর আগে গায়ানায় আগে ব্যাট করে হেটমায়ারের সেঞ্চুরিতে ২৭১ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ২৬৮ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। শনিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওভানডেতে মুখোমুখি হবে দু’দল।
শেষ ওভারে দরকার ছিলো ৮ রান। উইকেটে মুশফিক। যার ব্যাটে ৯ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়াডে সিরিজে জয়েরে সম্ভাবনা জেগেছে। কিন্তু, সেই মুশফিক’ই আউট হলেন এভাবে। নীরবতা ভেঙ্গে গায়ানার প্রোভিডেন্স উত্তেজনায় গর্জে উঠলো। পরের দুই বল ডট।
৩ বলে প্রয়োজন ৮ রান। মোসাদ্দেক আর মাশরাফী মিলে ব্যর্থ হলেন। প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচটি চরম নাটকীয়তায় হেরেই গেল বাংলাদেশ। এমন উত্তেজনার ম্যাচগুলোতে বরাবরই ক্রিকেট বিধাতা বাংলাদেশের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। এবারেও নিয়েছে। তাই চাঁদ হাসি ক্যারিবীয়দের চোখে মুখে।এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ায় অধিনায়ক যুক্তি ছিলো বৃস্টি আর দিবা রাত্রির ম্যাচ। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিয়েছে বোলাররা। দুই বিধ্বংসী ওপেনার এভিন লুইস ও ক্রিস গেইল দলীয় ৫৫ রানে প্যাভিলিয়নে। শাই হোপ জেসন মোহাম্মাদরা পারেননি প্রতিরোধ গড়তে। ১০২ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকের টুটি চেপে ধরে টাইগার বোলাররা।
কিন্তু, ব্যাট হাতে অক্সিজেন দিয়ে দলকে ম্যাচে বাঁচিয়ে তোলেন হেটমায়ার ও পাওয়েলের ৯৭ রানের জুটি। পাওয়েল আউট হলেও, গায়ানার লোকাল হিরো সিমরোন হেটমায়ার তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
কিন্তু, রুবেল সাকিব মুস্তাফিজদের বোলিংয়ে বাকিরা টেকেননি। তাই ৩ বল বাকি থাকতে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় ২৭১ রানে। তবে, হেটমায়ারের ১২৫ রানের অনবদ্য ইনিংস ক্যারিবীয়দের জয়ের গাঁথুনি দিয়ে দেয়।২৭২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু এনামুলের ব্যাটে। উড়িয়ে গড়িয়ে বল পাঠাচ্ছিলেন বাউন্ডারি ছাড়িয়ে। কিন্তু, অতিআত্মবিশ্বাসে যা হবার তাই হলো। বিজয়ের বিদায়ে আবারো দৃশ্যপটে দুই বন্ধু তামিম ও সাকিব। তাদের ব্যাটে রান উঠছিলো হুহু করে।
১৫ ওভারেই স্কোর বোর্ডে রান ১০১। সাকিব তামিম দুই জনেই তুলে নেন ফিফটি। কিন্তু, ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। দু’জনই প্যাভিলিয়নে ফিরলে। হাল ধরেন। মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ। আসকিং রান রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশকে দারুন ভাবে ম্যাচে ফেরান তারা। কিন্তু, রান আউটের ফাদেঁ কাটা পড়েন রিয়াদ। তবে, স্বপ্ন জয়ের নায়ক মুশফিক তখনও। অবিচল। কিন্তু, ২০১৬ ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে খুব কাছে গিয়েও যেমন নিজেদের ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে। ঠিক এ ম্যাচেও অনেকটাই তাই হয়েছে।