আজ মধ্যরাতেই শেষ হবে ৩ সিটির নির্বাচনী প্রচারণা

আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। গত কয়েকদিনের প্রচারণায় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আধুনিক নগর গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা। শুধু নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরা প্রতিশ্রুতিতে নয়, প্রার্থীর যোগ্যতা ও অতীত কর্মকাণ্ডকে বিবেচনায় রেখেই নগরের নতুন অভিভাবক নির্বাচিত করতে চান ভোটাররা। এদিকে, ভোটের আগে দেয়া ইশতেহার, পুরোপুরি বাস্তবায়ন কঠিন হলেও সে চ্যালেঞ্জ নিতে সদিচ্ছা থাকা জরুরি বলে মনে করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে দিনরাত মাঠ চষে বেড়ানো, সিলেট সিটি নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন বুধবার। ৩৩ দফা ওই ইশতেহারে নগরবাসীর সামনে তুলে ধরেন দেশের প্রথম ডিজিটাল নগর গড়ে তোলার স্বপ্ন। জানান সিলেটকে নিয়ে নানা পরিকল্পনা।

এর একদিন পর নিজের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় ‘নতুন আগামীর সিলেট’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সদ্য সাবেক এই মেয়র।

উন্নয়ন অঙ্গীকার দিতে পিছিয়ে নেই অন্যান্য মেয়র প্রার্থীরা। তবে প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি ফুলিঝুড়িতে নয়, অতীক কর্মকাণ্ড ও যোগ্যতা বিবেচনায় রেখেই নতুন নগরপিতা নির্বাচিত করতে চান ভোটাররা।

নাগরিক সমাজ বলছে, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সদিচ্ছা থাকাটা জরুরি।

এদিকে সময় ঘনিয়ে আসায় প্রার্থীদের প্রচারণার মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী সিটির ভোটাররা। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যে নগরবাসীকে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী।ভোটারদের মন জয়ে নানা অঙ্গীকার করছেন অন্যান্য প্রার্থীরাও। তবে নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লার আলোচনায় এখন শুধু ভোটের হিসেব। দলীয় প্রতীক নয়, নগরের অভিভাবক নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীকেই এগিয়ে রাখছেন ভোটাররা।

এক্ষেত্রে কঠিন হলেও ইশতেহার বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

আগামী ৩০শে জুলাই অনুষ্ঠেয় সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সিলেটে ৭জন, রাজশাহীতে পাঁচজন এবং বরিশালে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *