ম্যাচ ও সিরিজ সেরা তামিম

: শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
: ৬ years ago

সিরিজে দুইটি অনবদ্য শতকের জন্যে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ এবং ম্যান অব সিরিজ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। আজকের ইনিংসের ৩৪ তম ওভারে অ্যাশলে নার্সের বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অংকে পৌঁছে যান তামিম। এটি তার ক্যারিয়ারের ১১ তম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে শতক। এনামুল, সাকিব, মুশফিকরা একে একে বিদায় নিলেও একপাশ আগলে লড়েছেন দেশ সেরা এই ওপেনার।

১২০ বলে সেঞ্চুরির পথে ৭টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি।  এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।শেষ ম্যাচে একেবারে সহজ জিতে যাওয়া সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের। প্রথমে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রিস গেইল পরে আর পাওয়েল । রুবেলের বলে লং অনে মেহেদি হাসান মিরাজের তালুবন্দী হন ক্রিস গেইল। ৬৬ বলে ৭৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন তিনি। এরপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আশা দেখিয়েছিলে হোপ।

তবে ৬৪ রানে তাকে ফেরান ক্যাপ্টেন মাশরাফি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমে প্রথম আঘাতও হানেন মাশরাফি। এল লুইসককে ১৩ রানে ফেরান তিনি। মাঝে হেইটমেয়ার এসে কিছুটা খেলার চেষ্টা করলে ৩০ রানে তাকে সরাসরি ব্লোড করেন মিরাজ। এদিকে শেষের দিকে অবশ্য আর পাওয়েলকে প্যাভিলিয়নে ফেরানো সম্ভব হয়নি। ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাতে কি জয় কিন্তু গেছে বাংলাদেশের থলিতেই।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংক্ষিপ্ত স্কোর: ২৮৩/৬( আর পাওয়েল ৭৪, গেইল ৭৪, হোপ ৬৪, হেইটমেয়ার ৩৪; মাশরাফি ৬৩/২, মিরাজ ৪৫/২,রুবেল ৩৪/১

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। সেন্ট কিটসে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ৩০২ রানের টার্গেট দিয়েছে টাইগাররা।

এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুরুটা অবশ্য আশানুরূপ হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৩৫ রানের সময় ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে হারায়। ৩১ বলে ১০ রান করে জেসন হোল্ডারের শিকারে পরিণত হন বিজয়। তামিমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তুলেন। ৩৭ রানে নার্সের বলে কিমো পলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব।

এদিন মুশফিক একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। ১২ রানে বোল্ড হয়েছেন নার্সের বলে। ক্যারিয়ারের ১১তম শতক হাঁকানোর পর ১০৩ রানে ফিরে যান তামিম।দ্রুত রান তোলার লক্ষ্যে আগেভাগেই ব্যাট হাতে নেমে পড়েন মাশরাফি।

জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে। তাদের ৫৩ রানের ঝড়ো জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ২৫ বলে ৩৬ রান করে ফিরে যান ম্যাশ। ১২ রানে সাব্বির সাজঘরে ফিরলেও মোসাদ্দেককে নিয়ে শেষ পর্যন্ত খেলেনে মাহমুদুল্লাহ। শেষ দিকে তার দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩০১ রান তোলে বাংলাদেশ। ৪৯ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদল্লাহ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৩০১/৬  (তামিম ১০৩, সাকিব ৩৭,  মাহমুদল্লাহ ৬৭, মাশরাফি ৩৬; হোল্ডার ৫৫/২, নার্স ৫৩/২)