ড্রোন হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। সামরিক বাহিনীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় শনিবার তাকে লক্ষ্যে কোরে হামলা চালানো হয়। এঘটনায় মাদুরো অক্ষত থাকলেও আহত হন ৭ সেনা সদস্য। তবে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ কোরে, এর জন্য প্রতিবেশী দেশ কলম্বিয়াকে দায়ী করেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট। তবে মাদুরোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে কলম্বিয়া।
শনিবার ভেনেজুয়েলার সামরিক বাহিনীর ৮১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মাথার ওপরে ড্রোন দেখে এভাবেই হকচকিয়ে ওঠেন প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই। সারিবদ্ধ লাইন ফেলে দৌড়ে পালান অনেকেই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রেসিডেন্টের অবস্থানের কাছেই বড় একটি বিস্ফোরণ ঘটে। পরক্ষণেই ড্রোন থেকে আরও একটি গোলা ছোড়া হয়। এতে মাদুরো অক্ষত থাকলেও বেশ কয়েকজন সেনা আহত হন।
এ হামলার পর সামাজিক মধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে মাদুরোকে রক্ষায় বুলেটপ্রুফ শিল্ড নিয়ে তৎপর হতে দেখা যায় তার দেহরক্ষীদের। সামরিক বাহিনীর অনুষ্ঠানটি টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়ায়, ভেনেজুয়েলার জনগণ সরাসরি সেই দৃশ্য দেখতে পান।
হামলার কিছুক্ষণ পরেই গণমাধ্যমের সামনে আসেন প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সেইসঙ্গে এ ঘটনার জন্য সরাসরি কলোম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোসকে দায়ী করেন মাদুরো। প্রাথমিক তদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী হামলায় অর্থযোগানদাতারা যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখ কোরে, তাদেরকে চিহ্নিত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাকে হত্যা করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। ঈশ্বরের আশীর্বাদে আজ আমি বেঁচে গেছি। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ না ভেনেজুয়েলার কট্টর ডানপন্থী এবং তাদের মিত্র হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোসই জড়িত।’
হামলার কারণ ও হামলকারীদের অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে, হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে, হামলার বিষয়ে মাদুরোর অভিযোগকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে এর সঙ্গে কলম্বিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই জানিয়ে দিয়েছে দেশটির সরকার