দক্ষিণ জার্মানির একটি আদালত এক নারীকে সাড়ে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। নিজের ছেলেকে ডার্ক ওয়েবে পেডোফাইল বা শিশুদের প্রতি যৌন আকর্ষিত ব্যক্তিদের কাছে বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তার এ সাজা ঘোষণা করেছে।
ডার্ক ওয়েব হচ্ছে ইন্টারনেটের এমন এক জগৎ, যা স্বাভাবিক সার্চ ইঞ্চিনের বাইরে।
ফ্রেইবার্গের আদালত ওই নারীর পার্টনার ও ছেলেটির সৎবাবাকেও ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। একইসঙ্গে স্পেনের এক নাগরিককেও ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তিও ছেলেটিকে যৌন নিপীড়ন করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় আদালত।
যৌন নিপীড়নের শিকার ছেলেটির বয়স ৯ বছর। ৪৮ বছর বয়সী বেরিন টি ও ৩৯ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ান এল গত দুই বছর ধরে তাদের ছেলেকে যৌন নীপিড়ন করে আসছিলেন।
চলতি বছরের জুনে এ বিচারকাজ শুরু হয়। আদালতে ওই জার্মান দম্পতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শিশুদের সঙ্গে আগ্রাসী যৌন আচরণ, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি এবং শিশু পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
তিন বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকেও যৌন নিপীড়ন করেছেন ওই দম্পতি। নীপিড়নের শিকার ছেলেটি ও মেয়েটিকে ৪২ হাজার ৫০০ ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এ দম্পতিকে।
ঘটনার শিকার ছেলেটিকে এক পর্যায়ে তার মা ও সৎবাবার কাছ থেকে আলাদা করা হলেও পরে আবার তাকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ছেলেটি এখন তার পালক বাবা-মায়ের সঙ্গে আছে।
শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারায় আদালত বাডেন-উরটেমবার্গ রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কর্তৃপক্ষকে তীব্রভাষায় তিরস্কার করেছে।