ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে পর্যটন দ্বীপ বালি ও লোম্বকে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫ হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ১১টা পর্যন্ত লোম্বকে দ্বীপ এবং ওয়েস্ট নুসা তেনগারা প্রদেশে নিহতের সংখ্যা ১০৫ হয় বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় দুর্যোগ নিরসন এজেন্সির মুখপাত্র সুতোপো পুরউয়ো নুগরোহো।
তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে ৭৮ জনের মরদেহ নর্থ লোম্বক জেলায়, ১৫ জনের মরদেহ ওয়েস্ট লোম্বক জেলায়, চারজনের মরদেহ মতরম শহরে, তিনজনের মরদেহ ইস্ট লোম্বক জেলায় পাওয়া গেছে। এছাড়া সেন্ট্রাল লোম্বক জেলা এবং দেনাপসর শহরে দুইটি করে মরদেহ পাওয়া গেছে।
পাশাপাশি এই ভূমিকম্পে চার হাজার ৩৪৭টি ভবন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ২৩৬ জন গুরুতর আহত এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় গত রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৪৬ মিনিটে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় লোম্বক দ্বীপে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি।
দ্বীপটিতে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বারের আঘাত হানে ভূমিকম্প। এর আগে ২৯ জুলাই ৬ দশমিক ৪ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল লোম্বক দ্বীপ। তখন এক ডজনের বেশি মানুষ নিহত হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) প্রথমে জানিয়েছিল যে, রোববারের ওই ভূমিকম্প ৭ মাত্রার ছিল। কিন্তু পরে তারা জানায় এটি ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ছিল। ইউএসজিএস জানাচ্ছে, শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর ৫ দশমিক ৪ মাত্রা থেকে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার আরও বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ভূমিকম্পের ফলে দ্বীপটির বেশির ভাগ ব্যস্ততম গুলো যেন ভূতের শহরে পরিণত হয়েছে। বারবার কম্পনে বিধ্বস্ত হওয়া বাসাবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছে গ্রামবাসীরা।
মালাকার উত্তরাঞ্চলীয় একটি গ্রামের বাসিন্দা দিন ইকরা এএফপিকে বলেন, গতরাতে আমি পাহাড়ের ওপর ছিলাম। কারণ আমি শুনেছিলাম যে আবারও একটি ভূমিকম্প হতে পারে। আজ সকালে আমরা নিচে আসার সাহস পেয়েছি।