আগামী ৩১শে আগস্টের মধ্যে আটকদের মুক্তি, আন্দোলনে হামলাকারীদের বিচার ও পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ফের আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফরম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। গতকাল রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বেঁধে দেয়া সময়ে আটকদের মুক্তিসহ পাঁচ দফার আলোকে প্রজ্ঞাপন দাবিও করেছেন তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় জড়ো হতে থাকেন কোটা আন্দোলনকারীরা। সেখানে ছাত্রলীগ পাল্টা মিছিল বের করে।
এরপর কোটা আন্দোলনকারীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে তাও ভণ্ডুল হয়ে যায় ছাত্রলীগের মহড়ার কারণে। পরে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য জড়ো হন।মানববন্ধনে আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ আটক শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, সারা দেশের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত দাবি কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে গ্রেপ্তার ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি ও শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার এবং দাবির আলোকে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন ৩১শে আগস্টের মধ্যে না হলে সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে। সরকার এই আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন। না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এ সময় তিনি ঈদের আগে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেয়া না হয় তাহলে আন্দোলনকারী সবাইকে কালো পোশাকে শোক প্রকাশ করে ঈদ পালন করার আহ্বান জানান।