নোম্যান্সল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গাদের সাহায্য না করার শর্ত মিয়ানমারের

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে অবস্থানকারী ছয় হাজারের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কোনও ধরনের মানবিক সাহায্য-সহায়তা না দিতে বাংলাদেশকে শর্ত দিয়েছে মিয়ানমার। কোনও আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাও যাতে এ ধরনের সাহায্য-সহায়তা করতে না পারে ওই শর্তে সেটির কথাও বলা হয়েছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।

ঢাকায় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গেল ৯ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফরকালে আলোচনায় ওই শর্ত দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের মন্ত্রী চ টিন্ট শোয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হয়।

মিয়ানমার বলছে, যারা নোম্যান্সল্যান্ডে অবস্থান করছে তাদের ফিরিয়ে নেবে। কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের ঘোষণার ৫ নম্বর দফায় এমনটা বলা হয়েছে।

এদিকে নোম্যান্সল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ এবং কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থাও যাতে সহায়তা না করে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার শর্ত হিসেবে ঢাকাকে সেটি জানিয়ে দিয়েছে নেইপিদো। মিয়ানমার বলছে, নোম্যান্সল্যান্ডে যারা অবস্থান করছে তাদের সরাসরি সহায়তা দেবে তারা। আর মিয়ানমারের দিক থেকে ওই দেশটি আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকেও এ লক্ষ্যে অনুমতি প্রদান করবে।

তবে মিয়ানমারের শর্তের জবাবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনও জবাব দেয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। ওই অভিযানের পর দেশটি থেকে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *