উইন্ডিজ সিরিজের সফলতার পর বাংলাদেশের পরের মিশন এশিয়া ওয়ানডে কাপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ার ক্রিকেট দলগুলোর সবচেয়ে বড় এই আয়োজনে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের জন্য সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের।যদিও অস্ত্রোপচারের বিষয়টি এখন পর্যন্ত আলোচনাধীন।
বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে গিয়ে বাম হাতের আঙুলে চোট পান সাকিব। সেই চোট সারিয়ে মাঠে ফেরেন এক মাস পর। কিন্তু এখনো আহত আঙুল নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তিনি। তাই প্রয়োজন অস্ত্রোপচারের।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, সাকিবের অস্ত্রোপচার লাগবে, সেটা বোর্ড জানে না। উইন্ডিজ সিরিজের শেষের দিকে বিষয়টি তারা টের পেয়েছেন।
পাপন বলেছিলেন, ‘হজে যাওয়ার আগে সে আমাকে ফোন দিয়েছিল। তাকে আমি বলেছি, যদি তোমার মনে হয় অস্ত্রোপচার দরকার, তাহলে করে ফেলো। আর যদি মনে হয় অস্ত্রোপচার না করেও এশিয়া কাপ খেলতে পারবে, তাহলে টুর্নামেন্টের পরে করো, দলের জন্য ভালো হবে। সিদ্ধান্ত তোমার।’
পাপনের ওই বক্তব্যের পরও সাকিব যে এশিয়া কাপের আগেই অস্ত্রোপচার করতে চান, তা জানা গেছে বিসিবি ও কোচ স্টিভ রোডসের বৈঠকে। কোচ বিসিবিকে জানিয়েছেন, সাকিব এখনই অস্ত্রোপচার করতে চান।
শুধু কোচ নয়, বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীও জানিয়েছেন, উইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে আর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সিরিজ সাকিব খেলেছেন ব্যাথানাশক ওষুধ খেয়ে।
সব মিলিয়ে তাই এটাই ধরে নেওয়া হচ্ছে, সাকিব চাইছেন এশিয়া কাপের আগেই ছুরি কাঁচির নিচে যেতে। তার বর্তমান অবস্থায় ঠিকভাবে বল করতে পারলেও তিনি আঙুল পুরোপুরি ‘রোল’ করতে পারছেন না। এ কারণে ব্যাট ধরা ও ব্যাট করা; দুটিতেই সমস্যা হচ্ছে তার।
এশিয়া কাপের আগে অস্ত্রোপচার করলে মোটামুটি ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে সাকিবকে। সে ক্ষেত্রে এশিয়া কাপ নয়, অক্টোবরের জিম্বাবুয়ে সিরিজে চোখ থাকবে তার।