বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ঘিরে নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আগামীকাল শেখ কামাল স্টেডিয়ামে বিকাল ৪টায় খেলা শুরু হবে। সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন। সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে নিজেদের ঝালিয়ে নেবে দুই দল। এ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নবনির্মিত এই স্টেডিয়ামের অভিষেক হবে। খেলা দেখতে সবাই কতটা মুখিয়ে আছেন তা টিকিটের জন্য হাহাকারই বলে দিচ্ছে।প্রথম দিনে ছাড়া সব টিকিট ১ ঘণ্টাতেই শেষ হয়ে গেছে। গতকালও ছিল টিকিটের জন্য উপচে পড়া ভিড়। ভোর থেকেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। কোথাও কোথাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সহায়তা নিতে হয়। রোববার থেকে শুরু হয় টিকিট বিক্রি। আজ শেষ দিনের জন্যও কিছু টিকিট রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে নীলফামারী পৌঁছেছে শ্রীলঙ্কা দল। আজ যাবে বাংলাদেশ দল। গতকাল দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে নভোএয়ারের একটি বিশেষ বিমানে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয় শ্রীলঙ্কা ফুটবল দল। বিমানবন্দর সড়কের দুইপাশে শত শত শিক্ষার্থী, খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক দুই দেশের জাতীয় পতাকা নেড়ে ও ফুল ছিটিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানায়। এ সময় নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক উপস্থিত ছিলেন। এখান থেকে লঙ্কানদের বিশেষ নিরাপত্তায় নেয়া হয় রংপুরস্থ ‘নর্থ ভিউ’ হোটেলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সফলভাবে ম্যাচ আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতির বিষয়ে পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন, শহরজুড়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। ঢাকায় আগামী ৪ঠা সেপ্টেম্বর সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের পর্দা উঠবে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান, নেপাল ও পাকিস্তান। ৭ দলের টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।
‘ধারণক্ষমতা ১ লাখ হলে ভালো হতো’
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আরিফ হোসেন মুন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নীলফামারী জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের (ডিএফএ) সভাপতি তিনি। সাধারণ মানুষদের মাঝে যে উৎসাহ উদ্দীপনা তাতে স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ১ লাখ হলে ভালো হতো বলে দাবি করেন মুন। শেখ কামাল স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ২১ হাজারের কিছু বেশি। মুন বলেন, ‘যদি স্টেডিয়ামের দর্শকধারণ ক্ষমতা ১ লাখ হতো, তাহলে কিছু মানুষ খেলা দেখতে পারতো। টিকিট ছাপানো হয়েছে ২১ হাজার কয়েকশ। টিকিট প্রায় শেষ। আমার অনেক ভালো লাগছে। মানুষ অনেক আগ্রহ নিয়ে ম্যাচটি দেখার অপেক্ষা করছে। ম্যাচটি যেন সফলভাবে আয়োজন করতে পারি সেজন্য সবার সহযোগিতা চাই।’