এফডিসিতে এখনো কাটেনি ঈদের আমেজ। তাই তো ফ্লোরগুলো এখনো বন্ধ। শুটিং না থাকার কারণে এফডিসির শুটিং ফ্লোর এখনো খালি। নেই কোনো পরিচালকের কণ্ঠে ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশনের ডাক। একটা সময়ই রাত-দিন শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন পরিচালকসহ শিল্পী-টেকনিশিয়ানরা। এখন সেই তুলনায় শুটিং আর এফডিসিতে তেমন হচ্ছে না।মাঝে কিছুটা সময় শুটিং হলেও বর্তমানে ঈদের ছুটির আমেজের কারণেই শুটিং কয়েকদিন একদমই নেই বলে জানা যায়। এফডিসিরি ক্যান্টিনের সামনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রোডাকশন ম্যানেজার বলেন, শুটিং নিয়মিত না হওয়ার কারণে আমাদের পরিবারের অনেকেই এখন এফডিসিতে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। শুটিং হলে আসা হয়, না হলে আর আমিও তেমন আসি না। অবশ্য এখানে না এলেও ভালো লাগে না। ১৮ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে সংযুক্ত আমি। এফডিসির আগের রমরমা দৃশ্য শুধু চোখে ভাসে। হাজারো লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এই এফডিসি থেকেই। গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে তিন ও চার নম্বর ফ্লোরের সামনে গেলে দেখা
যাচ্ছে ফ্লোরগুলো শুটিংহীন পড়ে আছে। তবে বেসরকারি টিভির অনুষ্ঠানের জন্য মাঝে মধ্যেই এখানে সেট নির্মাণের কাজ হয়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিনেমার শুটিংয়ের চেয়ে টিভি অনুষ্ঠানের সেট এখানে বেশি নির্মাণ হয়। তবে এফডিসির পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতির দুই অফিসেই সবসময় নির্মাতা ও শিল্পীদের আনাগোনা চোখে পড়লে ঈদের ছুটির কারণে সেখানেও তেমন কাউকে দেখা যায়নি। সিনেমার মানুষদের বাইরে অনেকেই ইচ্ছুক থাকে এফডিসিতে শুটিং দেখতে। শুটিং দেখতে মানুষের আনাগোনা বর্তমানে কম এবং বাইরের খুব কম লোককে এখন ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয় বলে জানালেন এফডিসির প্রবেশ গেটের এক নিরাপত্তাকর্মী। এফডিসিতে বেশ কয়েকটি সংগঠন থাকলেও সিনেমা নির্মাণের সংখ্যাটা প্রতি বছরই কমে যাচ্ছে। এফডিসি জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া জানান, ঈদের পর এফডিসি কর্তৃপক্ষ গত রোববার থেকেই অফিস শুরু করেছে। ঈদের ছুটি শেষে এখনো অনেক নির্মাতা হয়তো শুটিংয়ে ফেরেননি। ফিরলেই এফডিসিতে আবার শুটিংয়ের ব্যস্ততা বাড়বে বলে আশা করছি।