পুরো স্টেডিয়াম দর্শকে টইটম্বুর। সবার মুখেই বাংলাদেশ…বাংলাদেশ…। অনুপ্রেরণার জন্য আর কী চাই মামুনুল ইসলাম, শাখাওয়াত রনিদের! কিন্তু গ্যালারিভর্তি দর্শকও জেতাতে পারল না বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচে ১-০ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
হতাশ গ্যালারিভর্তি দর্শক
বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস যেন মুহূর্তে থমকে যায়। উল্লসিত গ্যালারিতে যেন কালো মেঘ ভর করে বসে। খেলা শুরুর প্রথম মিনিটেই বাংলাদেশ দলের গোল কিক রুখে দেন শ্রীলঙ্কার গোলরক্ষক।দফায় দফায় আক্রমণ সানানোর পরেও আচমকাই ১২ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। আর এতেই যেন হতাশার কালো মেঘ ঘিরে ধরে গোটা গ্যালারি। এরপর থেকে গোটা মাঠ চষে বেড়িয়েও বাংলাদেশ দল দর্শকের মুখে আর হাসি ফোটাতে পারেনি। খেলা শেষে বিমর্ষ দশকদের মলিন মুখে মাঠ ছাড়তে দেখা গেছে।
টইটম্বুর গ্যালারি প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ অনেকেই
তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না গ্যালারিতে। মানুষ আর মানুষ। নানা বয়সী মানুষে ঠাসা নীলফামারী শেখ কামাল স্টেডিয়াম। ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা। ভাদ্র্রের তালপাকা গরম উপেক্ষা করে ফুটবলপ্রেমী মানুষে টইটম্বুর হয়ে যায় শেখ কামাল স্টেডিয়াম। পা ফেলারও জায়গা নেই। যে যেখানে বসেছেন, সেখানেই সোজা হয়ে ছিলেন। নড়াচড়া বন্ধ। ওদিকে যখন গ্যালারিতে তিল ধারণের ঠাই নেই তখনও হাজার হাজার মানুষ গ্যালারিতে প্রবেশের অপেক্ষায়। অনেকে বিলম্বে ভেতরে প্রবেশ করলেও গ্যালারিতে আর জায়গা হয়নি তাদের। ২০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার গ্যালারিতে যেন ৩০ হাজার মানুষ গাদাগাদি করে বসে খেলা দেখেছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে গ্যালারিতে পানির বোতল নিষিদ্ধ থাকায় প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণায় ছটফট করেছেন অনেকেই। ওদিকে গরমে প্রায় ২০ জন দর্শক অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংজ্ঞা হারান কয়েকজন। সুজন, আমজাদ হোসেন ও তালেব নামের ৩ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিরাপত্তার চাদরে শেখ কামাল স্টেডিয়াম
তিন স্তরের নিরাপত্তা। আনসার-র্যাব-পুলিশ কোনো কিছুরই কমতি ছিল না। স্টেডিয়াম প্রবেশদ্বার শহরের কবরস্থান মোড় ও উকিলের মোড় থেকেই দর্শকদের গতিরোধ করে টিকিট দেখে দেখে তাদের স্টেডিয়াম অভিমুখে যেতে দেয়া হয়। ফলে স্টেডিয়ামের সম্মুখ ভাগের পরিবেশ ভালো থাকলেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে গ্যালারিতে যেতে হিমশিম খেতে হয় হাজার হাজার দর্শককে।