যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আবারো চীনের ওপর চটেছেন। তার দাবি, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যতটুকু এগিয়েছে চীন তা নষ্ট করতে চায়। লাগাতার কয়েকটি টুইটে ট্রাম্প আরো বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক মহড়া বাতিল করবে না। উত্তর কোরিয়ার ক্ষোভ সত্যেও এ সামরিক মহড়া চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এর একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আমাদেরকে অবশ্যই এ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে হবে।
জুন মাসে সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া আর কোনো হুমকি নয়। কিন্তু উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিষ্ক্রিয়করণের পথে অত্যন্ত ধীরগতিতে আগাচ্ছে।ট্রাম্প এর পেছনে চীনকেই দায়ী করে আসছেন।চীন বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার একমাত্র বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে উত্তর কোরিয়ার সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে চীনের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এ ছাড়া এ অঞ্চলে চীন হচ্ছে ওয়াশিংটনের সব থেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। ইতিমধ্যে, দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে। চীনের পণ্যের সব থেকে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প মনে করেন, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এসব কারণে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাই উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের আচরণকেও ট্রাম্প চীনের চাল মনে করছে। এর আগে চীন ডনাল্ড ট্রাম্পকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে অভিহিত করেছে। চীন বলেছে, ট্রাম্প শুধু সমস্যা বাড়াতেই কাজ করছে, সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।