ছাত্রলীগকে আদর্শের রাজনীতি করার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বার বার অধিকার প্রতিষ্টা হয়েছে। কাজেই সেই ছাত্রলীগকে আদর্শের সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সম্পদের লোভে গা ভাসালে হারিয়ে যাবে। জনগণের জন্য রাজনীতি করলে ইতিহাস মূল্যায়ণ করে। আজ গণভবনে ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।জনসভায় পঁচাত্তরের ১৫ই আগষ্ট নির্মম হত্যাকান্ডের পর দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। দেশের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা করা যায়নি। বক্তব্যে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের অবদানও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
কেউ নিজেদের ভাগ্য বদলের জন্য রাজনীতি করে। কেউ সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর জন্য রাজনীতি করে। কিন্তু জনগণের জন্য যারা রাজনীতি করে ইতিহাস তাদের মূল্যায়ণ করে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পাবার মধ্য দিয়ে তৃপ্তি আসেনা। পেতে থাকলে পাবার আকাঙ্খা কখনো শেষ হয়না। তখন এই আকাঙ্খা বাড়তে থাকে। মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কতটুকু দিতে পারলাম, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে মানুষকে কি দিতে পারলাম- সেই চিন্তাটাই করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা মানুষের সবচে বড় সম্পদ। এই সম্পদ কেউ কেড়ে নিতে পারে না। তাই ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি ছেলে মেয়েকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আর সেই শিক্ষা ও আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। যে আদর্শের পথ জাতির পিতা দেখিয়ে গেছেন। যে আদর্শের পথ অনুসরণ করেই আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্টা করতে পেরেছি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তোমরাই ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে। কাজেই তোমাদেরকে আদর্শের পতাকা সমুন্নত রেখে প্রগতির পথে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্টা করার যে লক্ষ্য আমরা স্থির করেছি সেই লক্ষ বাস্তবায়ণ করতে হবে। আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজুয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন।