কাঠমান্ডু ঘোষণায় শেষ ৪র্থ বিমসটেক সন্মেলন

শুক্রবার কাঠমান্ডু ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হল বিমসটেকের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন। সদস্য ৭ দেশের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানে করে শুক্রবার দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিটে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুদিনব্যাপী চলমান বিমসটেক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় হোটেল সোয়াল্টি ক্রাউন প্লাজায়। এসময় নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে, দেশগুলোর উন্নয়নে তহবিল গঠন, মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল সৃষ্টি, সন্ত্রাসবাদের পেছনে অর্থায়ণ বন্ধ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত লড়াই। সম্মেলন শেষে শ্রীলঙ্কার হাতে বিমসটেকের সভাপতিত্ব হস্তান্তর করা হয়।বিমসটেকের সাবেক সভাপতি নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইত্রিপালা সিরিসেনাকে নতুন সভাপতি ঘোষণা করেন।

শুক্রবারের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইত্রিপালা সিরিসেনা, ভুটান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শেরিং ওয়াংচুক ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ও-চা-লেদ। তারা এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার উপরে জোর দিয়েছেন। বিদ্যুৎ সহযোগিতা বাড়াতে বিমসটেকভুক্ত দেশের নেতারা আন্তঃ গ্রিড গড়ে তোলার বিষয়ে একমত হয়েছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক নিশ্চিত করেছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, সম্মেলনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামী বিমসটেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *