দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকার জনসভায় বিএনপি নেতা আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন।
নির্বাচনের আগে বিএনপি কী চায় তা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারকে কিছু বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোল বলছেন, বিএনপি নীতিনির্ধারকরা প্রধানত তিনটি দাবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন – খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে, নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করার আগে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
আমাদের সংবাদদাতা বলছেন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি খোলা ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চ থেকে বক্তৃতার সময় বিএনপি নেতাদের কণ্ঠে বেশ “আত্মবিশ্বাসের” সুর শোনা গেছে।
বিএনপি নেতারা হুঁশিয়ার করেছেন, দ্রুত তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দেওয়া না হলে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করা হবে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকারর মোশাররফ হোসেন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “আন্দোলনের আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন।”নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার আগে সরকারতে পদত্যাগ করতে বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একইসাথে সমস্ত কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের ভাষণে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং কমিশন ঢেলে সাজানোর দাবি করেন।
বিএনপির সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীর সমাগম ছিল লক্ষণীয়।
কাদির কল্লোল বলছেন, নয়া পল্টনে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে সড়কটি মানুষে ঠাসা ছিল।
সরকারের পক্ষ থেকে এই সমাবেশে বাধা তৈরির কোনো চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়নি। একজন সিনিয়র মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেছেন, সরকার চায়না নির্বাচনের আগে কোনো ইস্যু তৈরি করে রাজধানীতে কোন বিশৃঙ্খলা তৈরি হোক।
নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে ঐ মন্ত্রী বলেন, সংবিধানে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যা বলা আছে, সবকিছু সে মতই হবে।