কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘গজবের ভয় দেখিয়ে’ চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সাড়ে পাঁচ মাস ধরে শারীরিক সম্পর্কে শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার ঘটনায় উত্তর বাইটকামারী কওমি মাদ্রাসার মুহ্তামিম মাওলানা আব্দুল বাছেদ(৪২) গ্রেপ্তার করেছে রৌমারী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল বাছেদ উত্তর বাইটকামারী গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে।শনিবার এসআই তুহিন মিয়ার নেতৃত্বে রৌমারী থানা পুলিশের একটি টিম রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজলার শেওড়া মসজিদের বাজার এলাকা থেকে আব্দুল বাছেদকে গ্রেপ্তার করে রৌমারী থানায় নিয়ে আসে।এসআই তুহিন মিয়া তার বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৯ এর ১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার শেওড়া মসজিদের বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার কলেছেন।
উল্লেখ্য, উত্তর বাইটকামারী গ্রামের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী কোরআন শরীফ শিক্ষা নেয়ার জন্য সাড়ে ৫ মাস আগে বাইটকামারী কওমি মাদ্রাসার ওই শিক্ষকের কাছে যায়। এ সুযোগে মাদ্রাসার মুহ্তামিম মাওলানা আব্দুল বাছেদ ‘গজবের ভয় দেখিয়ে’ সাগে ৫ মাস ধরে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের লোকজন ২৯ আগস্ট রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।এদিকে মেয়েটির বাবা বলেন, আমার মেয়েকে গর্ভবতী করছে মাদরাসার হুজুর। আমি গরিব মানুষ, আমি কার কাছে বিচার দিবো? এছাড়া ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গ্রামের প্রভাবশালী লোকজন ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে মীমাংসার চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মেয়েটির বাবা।