জাপানে ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন আঘাত হেনেছে। জেবি নামের এ টাইফুনের আঘাতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ দুর্যোগপ্রবণ এলাকার ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তীব্র ঘূর্ণিবাতাসে বাতিল করা হয়েছে বিমানের কয়েক শ’ ফ্লাইট। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, টাইফুন জেবির প্রভাবে জাপানে তীব্র বর্ষণ চলছে। একই সঙ্গে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে। আগুন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি বলছে, শিকোকু অঞ্চলে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২০৮ কিলোমিটারে পৌঁছেছে। প্রবল বর্ষণের ফলে পর্যটন শহর কিয়োটো মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। ওসাকার প্রধান বিমানবন্দরটি পুরোপুরি পানিতে ডুবে গেছে।ফলে নির্ধারিত সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, তীব্র ঝড়ো বাতাসে একটি তেলবাহী ট্যাংকার ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। সহসাই সেখানে বৃষ্টিপাত কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সিএনএন বলেছে, মঙ্গলবার বিকালে টাইফুন জেবি তকুশিমা শহরে আঘাত হানে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুসারে ১৯৯৩ সালের পর এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন। কোস্টগার্ডের মুখপাত্র কেইটা সাকাই বলেন, তীব্র ঝড়ো হাওয়ায় ৮৯ মিটার দীর্ঘ তেলবাহী ট্যাংকার হাউনমারু কানসাই বিমানবন্দর সংলগ্ন সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এনএইচকে টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ট্যাংকারটি সেতুর অবকাঠামোর সঙ্গে আটকে আছে। এতে ১১ জন ক্রু ছিল। তবে সংঘর্ষে তাদের কেউ আহত হয় নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ঝড়ো বাতাসের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। নয়টি শহরের অধিবাসীকে বাধ্যতামূলকভাবে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। আর ৫৩টি শহরের অধিবাসীকে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়েছে। তবে বাধ্যতামূলকভাবে এ নির্দেশ দেয়া হয়নি। গিফু, আইসি, কিয়োটো, ওসাকা, হিয়োগো, নারা ও ওয়াকায়ামা অঞ্চলে ঝড়ের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া তীব্র বর্ষণের ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।