বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ৪৭তম সীমান্ত সম্মেলন ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়। সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হতাহতের ঘটনা এখনো শূন্যের কোঠায় নেমে না আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজিবি মহাপরিচালক। গতকাল এ বিষয়ে যৌথ বিবৃতি দেয় বিজিবি-বিএসএফ।
সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তে হতাহতের ঘটনা এড়াতে বিএসএফ নন-লিথেল অস্ত্র ব্যবহার করছে। এমনকি সশস্ত্র সীমান্ত অপরাধীদের বিপজ্জনক আক্রমণের শিকার হয়েও বিএসএফ সর্বোচ্চ সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করছে। তিনি বলেন, সীমান্ত অপরাধীদের দ্বারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম বন্ধ করাসহ তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে হতাহতের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। এ বিষয়ে উভয়পক্ষ প্রতিরোধমূলক যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।
সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের অনুসন্ধানে বিজিবিসহ বাংলাদেশি অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ কখনই তার ভূমি অন্যকোনো দেশের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ব্যবহারের সুযোগ দেয় না। অসতর্কতাবশত সীমান্ত অতিক্রমকারী নাগরিকদের নিজ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিকট হস্তান্তরে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছেন।মাদক, অস্ত্র, স্বর্ণ পাচারসহ সবধরনের চোরাচালান বন্ধে বিজিবি-বিএসএফ একে অপরের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। সেইসঙ্গে চোরাচালান রোধের যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন। উভয় মহাপরিচালক যশোর সীমান্তে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ এর কার্যকারিতার প্রশংসা করেন। পর্যায়ক্রমে সীমান্তের অন্যান্য এলাকায় ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণা করতে নীতিগতভাবে সম্মতি প্রকাশ করেছেন বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক। মহাপরিচালক পর্যায়ের পরবর্তী সীমান্ত সম্মেলন আগামী বছরের মার্চ এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠানের ব্যাপারে উভয়পক্ষ নীতি সম্মত হন।
নয়াদিল্লিতে অুনষ্ঠিত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মার নেতৃত্বে ২০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।