মিশরের একটি আদালত শনিবার মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েকজন শীর্ষ নেতাসহ ৭৫ জনের মৃত্যুর রায় দিয়েছেন। মুসলিম ব্রাদারহুডের সিনিয়র নেতা এসাম এল-এরিয়ান ও মোহামেদ বেলতাগিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে ব্রাদারহুডের আধ্যাত্মিক নেতা মোহামেদ বাদাউয়িকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন মিশরীয় ওই আদালত। খবর আল-জাজিরার।
সুপরিচিত ফটো সাংবাদিক মাহমুদ আবু জেইদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে তিনি কয়েক দিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যাবেন। ২০১৩ সালের আগস্টে কায়রোয় হত্যাকাণ্ড কভার করার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবু জেইদের আইনজীবী বলেছেন, আর ‘কয়েক দিন’ পরই ছাড়া পাবেন তিনি।
বাদাউয়ি ছাড়া আরও ৪৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৬১২ জনকে পাঁচ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তাদের মধ্যে রয়েছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ এলশামি। এলশামিকে তার অবর্তমানে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০১৪ সালের জুন মাসে মুক্তি পাওয়ার আগে বিনা অভিযোগে ১১ মাস মিশরের কারাগারে ছিলেন এলশাসি।
কায়রোয় এই গণবিচারে সাজা পাওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেয়া এবং অবৈধ বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের মতো অভিযোগ এনেছেন আদালত।
এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই গণ রায়কে ‘লজ্জাজনক’ উল্লেখ করে এটির নিন্দা জানিয়েছে।
অ্যামনেস্টির উত্তর আফ্রিকা অংশের পরিচালক নাদিয়া বোনাইম বলেন, রাবা এবং নাহদা বিক্ষোভে কমপক্ষে ৯০০ ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় কোনও একজন পুলিশ অফিসারের সাক্ষ্য না নিয়ে এই রায় বিচারের নামে প্রহসন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট কায়রোর রাবা আল-আদাউইয়া স্কয়ারে এক অবস্থান কর্মসূচিতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে কয়েক ঘণ্টার পুলিশি অভিযানে ৮০০’র বেশি মানুষ নিহত হয়। ওই ব্যক্তিরা মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাকে উৎখাতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন।