খালেদার মুক্তি আর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বেকায়দায় বিএনপি

৩শ’ আসনে প্রার্থী দেয়া বিএনপির এক সপ্তাহের ব্যাপার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রস্তুতি নেয়া বিএনপি কেন, অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিএনপির নীতি নির্ধারকরা। নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার দাবি করেন দলটির নেতারা। তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। আন্দোলন করে অনেকটা ক্লান্ত বিএনপি আগের অবস্থান থেকে সরে এসে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তুলে। সেই দাবিও উপেক্ষা করেছে বর্তমান সরকার। এর মধ্যে দলের প্রধান খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে কারাবাসে ৮ মাস। দলের প্রধান কারাগারে থাকায় বেশ চাপে পড়েছে দলটি। একদিকে দলীয় প্রধানের মুক্তি, অন্যদিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি। দুই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বেকায়দায় দলটি। এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত। তিনি বলেন, যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না, সে দেশে বিরোধী দলের অসহায়ত্ব প্রকাশ পাওয়া স্বাভাবিক। তবে জাতীয় ঐক্যের অগ্রগতি নিয়ে আশাবাদী তিনি। তার মতে অল্পদিনের মধ্যেই সুখবর পাবে জাতি। তিনি বলেন, বলে কয়ে দিনক্ষণ ঠিক করে তো আন্দোলন হয় না। জাতি হঠাৎ করে জেগে উঠবে। এরই মধ্যে নীতিগতভাবে সমমনাদের সঙ্গে ঐক্য হয়েছে। জনগণও আন্দোলনের জন্য একতাবদ্ধ হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।আর খালেদা জিয়ার মুক্তি নির্বাচনের জন্য অন্তরায় নয় বলে মনে করেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ৩শ’ আসনে প্রার্থী দেয়া বিএনপির এক সপ্তাহের ব্যাপার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রস্তুতি নেয়া বিএনপি কেন, অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে সম্ভব নয়।তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার দাবি করেন সংবিধানের দোহাই দিয়ে আবারও এক তরফা নির্বাচনের পথে গেলে, সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *